পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল পঞ্জাব সরকার। এই প্রথম বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে দেশের শীর্ষ কোর্টে কোনও মামলা হল।অসম এবং বাংলার মতোই পাঞ্জাবেও বোর্ডের সিকিউরিটি ফোর্সের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের এই খবরদারি বৃদ্ধি নিয়ে সর্ব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটি আসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত। একই কথা বলেছে পঞ্জাব সরকার।
সংবিধানের ১৩১ নং ধারার উল্লেখ করে পঞ্জাব সরকার বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি আসলে রাজ্যগুলির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ। আরও বলা হয়েছে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত পাক সীমান্তবর্তী জেলাগুলির ৮০ শতাংশকে প্রভাবিত করবে।সংবিধান অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা এবং পুলিশ রাজ্য তালিকাভুক্ত। সংবিধান এই অধিকার রাজ্যগুলিকে দিয়েছে। তারপরও এইভাবে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি কেবল অনৈতিক নয়, অসাংবিধানিক বলেও মনে করছে পঞ্জাব সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার নোটিশ জারি করে এটর্নি জেনারেলকে ২৬ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছে। তারপরই মামলা তালিকাভুক্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস পাঞ্জাব সরকারের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা সিধু টুইট লিখেছেন, ‘বিএসএসফের আইমান বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম মামলা করার জন্য আমি পাঞ্জাব সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’১১ অক্টোবরের কেন্দ্র একটি বিজ্ঞপ্তিতে পঞ্জাব, বাংলা এবং অসমের বিএসএফের আন্তর্জাতিক সীমানা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০কিলোমিটার করেছে।
কংগ্রেসের মত আকালি দলও বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে সুখবির বাদল বলেন, ‘আসলে পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের ফন্দি আঁটা হচ্ছে।’ কংগ্রেস বলেছে বিজেপি আদনীর মুন্দ্রা বন্দরের হেরোইন উদ্ধার চাপা দিতেই বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির হাওয়া তুলেছিল।আদানির দিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে কেন্দ্র এই কম্মো করেছে।
বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রথম বিল পাশ করে পাঞ্জাব বিধানসভা। তারপর বিল পাশ করে বাংলা। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই গত মাসে দাবি করেছিলেন এর ফলে আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে আরও ভাল এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করবে।