পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সামনে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জন গগৈয়ের আত্মজীবনী। এই আত্মজীবনী সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল সাইটে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ওই আত্মজীবনী থেকে যে ছবি সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, রায়দানের পর রঞ্জন গগৈ ও চার বিচারপতির উজ্জাপনের ছবি। মূলত সমালোচনা শুরু হয়েছে সেই ছবি এবং রঞ্জন গগৈয়ের রায়দান পরবর্তী উজ্জাপন মন্তব্য থেকেই। যদিও এনডিটিভিকে দেওয়া ব্যাক্তিগত সাক্ষাৎকারে তিনি সাফাই দেওয়ার চেষ্টার কসুর করেননি।
তিনি বলেন, ৫-তারা খাবার এবং মদ্যপান (ওয়াইন),অযোধ্যা রায়দানের উজ্জাপন ছিল না। আত্মজীবনীতে গগৈ লিখেছেন, ‘সন্ধ্যায় বিচারপতিদের নিয়ে গেলাম তাজ মানসিংহ হোটেলে ডিনারের জন্যে। আমরা চাইনিজ খাবার খেয়েছিলাম। সেখানে পাওয়া সেরা ব্র্যান্ডের একটি মদের বোতল নিয়েছিলাম।’ সোশ্যাল সাইটে কটাক্ষের জবাবে তিনি এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকারে বলেন, “বিচারকরা প্রত্যেকেই কাজ করেছিলেন চার মাস ধরে। আমরা সবাই এত কঠোর পরিশ্রম করেছি, আমরা ভেবেছিলাম আমরা বিরতি নেব। আমরা এমন কি কিছু করেছি যা অনুমোদনযোগ্য নয়?”
টুইটারে জুনাইদ ভাট বইটির ছবি দিয়ে লিকেছেন ‘ঠিক কি রায় দিয়ে এমন উজ্জাপন? এর মানে কি এই এটাই যে তারা বিশেষ কোনও দিকে যেতে চেয়েছিলেন ? বিচার ব্যাবস্থার হলটা কি ? বিচার বিভাগ যখন স্বৈরাচারের ধাত্রী হয়ে ওঠে তখন আইন হয়ে যায় ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র। এমনই টুইট করেছেন সুচিত্রা বিজয়ন।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার অধ্যাপক অপূর্বানন্দ বলেছেন যে উজ্জাপন করার পরিবর্তে, রায়টি দেওয়ার আগে ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের চিন্তা করা উচিত ছিল। কীভাবে এবং কেন এই রায় দেওয়া হয়েছিল এবং কেন তারা এটি এড়াতে পারেনি। তারা কি সত্যিই এটা নিয়ে গর্বিত?
See how they have joined hands gleefully after a judgment which should have led them to think privately how and why it was given and why they could not avoid it. Are they really proud of it? https://t.co/HDVEUGE4cW
— Apoorvanand अपूर्वानंद (@Apoorvanand__) December 9, 2021