দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর, এবছর পৌষ মেলা না হওয়ার দিকেই পাল্লা ভারি। মেলার সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বিশ্বভারতীর কোর্ট মিটিংয়ে হয় নি সিদ্ধান্ত। অনুব্রত মণ্ডল পরিস্কার বলেছেন, করোনাকালে মেলার কথা হবে না। তাই বিকল্প ভাবে পৌষ মেলা কেউ আয়োজন করবেন কিনা – তা আদৌ স্পষ্ট নয়। তবে পৌষ যেন সত্যি ডাক দিতে চলেছে বোলপুরবাসীদের। নিন্দুকেরা যতই বলুক, নাকের বদলে নরুন, হস্তশিল্পের এক বড় মেলা আয়োজন হতে চলেছে বোলপুরে।
বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, “আমাদের তরফ থেকে রাজ্যে – কলকাতা, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরে হস্তশিল্পের বিশেষ মেলার আয়োজন করা হয়। সেরকমই একটি বড় মেলা আমরা বোলপুরে করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে খুব শীঘ্রই আমরা তারিখ স্থির করে ফেলতে পারব।”
শনিবার সকালে দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বোলপুর সংলগ্ন শিবপুর মৌজায় বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার প্রকল্পে যান। সেখানেই আধিকারিকদের সঙ্গে ঘুরে দেখেন জায়গা, বিস্তারিত আলোচনাও হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনাতেই এখানে বিশাল জায়গার উপর এই বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার গড়ে উঠেছে যেখানে হস্তশিল্পীদের জন্য অস্থায়ী দোকান ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, “আমরা এখানে একটি বড় মেলার আয়োজন করতে চলেছি। আমাদের জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পীরা, সেল্ফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা থেকে শুরু করে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা তারা এখানে আসবেন, অন্যান্য মেলার মতোই তারা এখানে বিকিকিনি করবেন। মেলায় যে সমস্ত মানুষজন আসবেন তাদের জন্য ফুড কোর্ট থাকছে, বাচ্চাদের জন্য নাগরদোলা সহ অন্যান্য মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা ও আমরা করব।”
“শুধু এবছর নয়, প্রতি বছরই যেন এরকম মেলা এই জায়গায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে করা যায় সেই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি,” বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তবে এদিন পৌষ মেলা নিয়ে বিশ্বভারতী প্রাক্তনী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “উপাচার্য যা ইচ্ছা করছেন। উনি কারোর সাথে আলোচনা করেন না। কিছু বলেন না। তাই পৌষ মেলা নিয়ে কি হবে, তা আমরা জানিনা। তবে আমরা আমাদের দপ্তরের তরফ থেকে এখানে মেলা করব।”
তবে এই মেলা যে পৌষ মেলার বিকল্প মেলা নয় তাও এদিন খুব স্পষ্ট করে জানান তিনি।