পুবের কলম প্রতিবেদক, পটাশপুর: গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নামে ২৩ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। বলা হয়েছিল, একুশের বিধানসভা ভোটে লড়ার টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু প্রার্থী তো করা হয়নি, এদিকে এতগুলো টাকা ফেরতও পাননি। সেই টাকা ফেরত না পেয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন বিজেপি-র প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। ঘটনায় জোর শোরগোল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে।
পটাশপুর ১ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই বলেন, একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটের জন্য ৫ দফায় তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল মোট ২৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু তারপরও জোটেনি টিকিট। ফেরতও মেলেনি সেই টাকা। রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মহিলা মোর্চার সহসভাপতির বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন বিজেপির পটাশপুর ১ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি মানস রঞ্জন সামাই।
তাঁর দাবি, মাস তিনেক আগে বিজেপির অন্দরে আর্থিক লেনদেনের সেই অভিযোগ তিনি দলীয় প্যাডে লিখে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তা পাঠান বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ অন্যান্য নেতৃত্বকে। সেই অভিযোগপত্রে তিনি যোগ করেছেন, টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। আর তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহসভাপতি। সোমবারই প্রকাশ্যে এসেছে সেই চিঠি। তাতেই শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর। এই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এ নিয়ে রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দল এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যথাযথ সময়ে এ ব্যাপারে জানানো হবে।”
এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমন শানিয়েছেন পুর্ব মেদিনীপুরের যুব তৃনমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন বিজেপি মানে দুর্নীতি।দ লের টিকিট প্রদানেও সেই ধারা অব্যাহত। ওদের মুখে নীতি-আদর্শের কথা মানায় না।