পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মুম্বইয়ে ওয়াইপিও-এর সম্মেলনে যোগ দিতে এবার মুম্বইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচটার মধ্যেই এই রাজ্যে পৌঁছে যাবেন তিনি। এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর সেই সম্মেলন রয়েছে। সেখানেই দেশের তাবড় শিল্পপতিদের সামনে বক্তব্য রাখবেন মমতা। এপ্রিলেই রাজ্যে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন রয়েছে। এই সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, শিল্পসচিবরাও।
সূত্রের খবর, আজ বিমান বন্দরে মমতাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন, শিবসেনা ও এনসিপি দলের বিভিন্ন নেতারা। থাকতে পারেন অজিত পাওয়ার। এখান থেকে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও দেখা সাক্ষাতের কথা রয়েছে। বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূলকে সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে কোমর বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। ত্রিপুরা, মেঘালয়, উত্তরে হরিয়ানা, পশ্চিমে গোয়া, এবার মুম্বই, দিল্লিতে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ঝাপাচ্ছে তৃণমূল। ধাপে ধাপে তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে উপস্থাপনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের সাংবিধানিক রূপরেখার পরিবর্তন করা হবে। কিভাবে এই পরিবর্তন আনা হবে, তাতে কি কি থাকবে তা নিয়ে এদিন ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা এখন যারা কমিটিতে রয়েছি তাঁরা সকলেই প্রায় বাংলার। কিন্তু দল বড় হচ্ছে।
ফলে মেঘালয়, হরিয়ানা সহ অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হবে ওয়ার্কিং কমিটিতে। অতএব একটা জিনিস পরিষ্কার, বিজেপি বিরোধিতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূলকে সর্ব ভারতীয় দলে পরিণত করতে লড়াইয়ের ময়দানে মমতা।