পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট ভাবাচ্ছে তামাম বিশ্বকে। এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছে বি.১.১.৫২৯ নামে এই নতুন রূপ। সন্দেহ করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোনও এক রোগীর শরীরে মিউটেশন ঘটে রূপটি তৈরি হয়েছে। সম্ভবত, ওই রোগী এইচআইভি আক্রান্ত। এবং তিনি বিনা চিকিৎসাতেই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যত জন কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশের দেহেই ওমিক্রন মিলেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন জোহানেসবার্গে। সেখানে সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া।
স্বভাবিকভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বইতে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।শনিবার এএনআই এই খবর জানিয়েছে।নয়া ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত করতে যাত্রীদের কাছ থেকে নমুনা পাঠানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকার বলেছেন।তিনি আরও বলেছেন, বিদেশ থেকে আসা উড়ানগুলিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি এএনআইকে বলেছেন। সংবাদমাদ্দমকে তিনি বলেন,”বিদেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেড়েছে, তাই বাইরে থেকে যারা আসছেন তাদের জিনোম পরীক্ষা করতে হবে।”
কোভিড-১৯-এর নয়া স্ট্রেনকে শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘উদ্দ্বেগজনক ” হিসাবে উল্লেখ করেছে। তারাই এর নাম দিয়েছে ওমিক্রন, ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এই ওমিক্রন৷ বতসোয়ানা, বেলজিয়াম এবং হংকংয়েও এই ভ্যারিয়েন্ট নজরে এসেছেন।
শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়া কোভিড -১৯ রূপ নিয়ে আলোচনা করতে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে রূপরেখা তৈরি করতে বলেছেন তিনি । আন্তর্জাতিক সফরে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যেসব দেশগুলিতে নয়া ভ্যারিয়েন্ট নজরে এসেছে সেখান থেকে আগত যাত্রীদের ওপর বাড়তি সতর্কতার কথা বলেছেন মোদি।