পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গুরগাঁওয়ে বারবার মুসলিমদের জুম্মার নামাজে বাধা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।এদিন বিরোধ নয়া মোড় নেয়। মোহাম্মদপুর ঝাড়সা, খন্ডসা, নরসিংহপুর এবং খাটোলা গ্রামের স্থানীয়রা সেক্টর ৩৭ থানার কাছে নির্ধারিত নামাযের স্থান দখল করে যোগ্য করে স্থানীয় হিন্দুরা।গলাবাজি করে তারা জানায় ২৬ /১১ শহীদদের স্মরণ করতে তারা এই কাজ করেছে।
এর আগে নামাযের বিরোধিতা করে জেলা প্রশাসকের কাছে স্থানীয় কয়েকজন স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরই মাঠে ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়।দুপুরে, ১০০ জনেরও বেশি লোক খোলা মাঠে বসেছিল, যেখানে গত সপ্তাহেও নামাযে বিঘ্ন ঘটানো হয়েছিল।
খন্ডসা গ্রামের ব্যবসায়ী অবনীশ রাঘব, যজ্ঞের আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন, বলেছেন: “আমরা প্রশাসনের কারও সাথে সরাসরি কথা বলিনি। আমাদের গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু লোক ডিসিকে স্মারকলিপি দিয়েছিল। মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এখানে একটি পূজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা প্রতি বছর এটা করি। এর আগে আমরা অন্য গ্রামে নামাজ পড়তাম—মোহাম্মদপুর ও নরসিংপুরে। এখন, আমরা এখানে খান্ডসায় করছি। এই গ্রামের অন্য কোথাও পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় আমরা এই নির্দিষ্ট জায়গাটি বেছে নিয়েছি। নামাযের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
তাঁর দাবি, “এই এলাকাটি শিল্প কেন্দ্র। মানুষের এখানে রাস্তায় নামায পড়া উচিত নয়। এখানে একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। আমি বলছি না যে এখানে যারা আসে তারা সবাই অসামাজিক, তবে এটা খতিয়ে দেখতে হবে।”
ভারত মাতা বাহনীর সভাপতি দীনেশ ভারতী, এর আগে সেক্টর ৪৭ -এ শুক্রবারের প্রার্থনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।এর আগেও সাম্প্রদায়িক অপপ্রচারের অভিযোগে এপ্রিল মাসে মামলা হয়েছিল।
মুসলমানরা নামাজ পড়তে মাঠে জড়ো হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে তারা নামাজ না পড়েই চলে যেতে শুরু করে। যাইহোক, মুসলিম একতা মঞ্চের চেয়ারম্যান শেহজাদ খানের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ জনের একটি দল শেষ পর্যন্ত যেখানে জজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে প্রার্থনা করে।
নামাযের পর শেহজাদ খান বলেন, “কিছু লোক শহরের সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অথচ যেখানে নামায হয়েছিল সেই জায়গাটি প্রশাসনই ঠিক করে দিয়েছিল।তারপরও কিছু গোষ্ঠী নামাযে বিঘ্ন ঘটাতে এমন কৌশল অবলম্বন করছে।”