পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লাগামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। আদালতে ২৫ নভেম্বরের ভোট বাতিলের দাবি তুলেছে তৃণমূল। শীর্ষ আদালতে তৃণমূল জানিয়েছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ত্রিপুরায় হয়নি। তদন্তের জন্য আদালতে বিশেষ প্যালেন তৈরির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় বিজেপির লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে গতকালই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানায় তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানেই এই তদন্ত হোক।
এদিকে পুরভোট ঘিরে আতঙ্কের চেহারা নেয় ত্রিপুরা। বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। ভোট শেষ হওয়ার আগেই ত্রিপুরা সিপিএম-এর পক্ষ থেকে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন চলাকালীন মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের দুই পোলিং এজেন্টকে। আর প্রার্থীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়া হল। আর দেদার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে সুপ্রিম কোর্ট ভোট চলাকালীনই নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় আরও বাহিনী মোতায়েন করার জন্য। বৃহস্পতিবার প্রবল উত্তেজনার আবহে ত্রিপুরার ২০টি পুরসভা অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে রয়েছে আগরতলা পুরনিগম ও ৬টি নগর পঞ্চায়েত। মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২২টি’তে ভোট হচ্ছে। ১১২টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি। ২৮ নভেম্বর ভোট গণনা।
গেরুয়া বাহিনীর তাণ্ডবে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাসের চোখে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলী এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয়। ৭– ৮– ৯– ১০ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। তৃণমূলের আর এক প্রার্থী পদ্মা ভট্টাচার্যের ছেলে ধীমান ভট্টাচার্য গেরুয়া বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন। ভোট দিতে যাওয়ার সময় তাঁকে আক্রমণ করে পদ্ম-হার্মাদরা। চিকিৎসার জন্য আগরতলার জিবি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল পালের বাড়িতেও হামলা হয়। দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী লিটন দেবের উপরও।
আগরতলার কয়েকটি ওয়ার্ডে রিগিং ও ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।