পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তিনি বলেন,‘‘মমতার পাশেই আছি। আলাদা ভাবে দলবদল করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’
এমনিতে বিজেপির সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক এখন খুবই ঠাণ্ডা।গত মাসেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় কর্মসমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার এই সাংসদকে। বহু বার প্রকাশ্যে তিনি মোদি ও মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁকে বহুবার দেখা গিয়েছে মমতার প্রশংসাও করতে ।অক্টোবরে মমতার রোম-সফরে সম্মতি না দেওয়ায় কেন্দ্রকে তুলোধনাও করেছিলেন স্বামী।
মঙ্গলবারই দিল্লিতে মমতার হাতে থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন পবন বর্মা, অশোক তানোয়ার,পবন বর্মা এবং কীর্তি আজাদ। রাহুল গাঁধীর একদা ঘনিষ্ঠ ছিলেন অশোক তানোয়ার । প্রথম বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে পরে এবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে ঢুকলেন কীর্তি আজাদ। জেডিইউ ছাড়লেন পবন বর্মাও ।
সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে প্রতিদিন প্রভাব বাড়াচ্ছেন মমতা। একেবারে অঙ্ক কোষে এগোচ্ছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচন আস্তে এখনো ঢের দেরি। কিন্তু মমতা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর দল বাকিদের মত শীতঘুমে ঝিমোচ্ছে না। তিনি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন সামনে রেখেই দলকে উজ্জীবিত করছেন। কেবল ফাঁকা আওয়াজ নয়, দিদির দলকে রীতিমত সমীহ করছে মোদির দল। ত্রিপুরায় ঘাসফুল যেভাবে পদ্মশিবিরকে ঘিরে ধরছে সেটা রাজনৈতিক দিক দিয়ে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। জাতীয় দল বিজেপির সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছে মমতার আঞ্চলিক দল। অথচ এই টক্কর দেওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের। একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে মমতা দেশজুড়ে নিজেকে বিকল্প শক্তি হিসাবে তুলে ধরার যে চেষ্টা করছেন তাতে তিনি অনেকটাই সফল।