মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়ঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে সৌজন্যের রাজনীতি ফিরল ভাঙড়ে। অনেকদিন পরে শাসকদলের একই মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গেল বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদকে। যা দেখে খুশি ভাঙড়ের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা, স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীও। মঙ্গলবার ভাঙড়ের শোনপুর বাজারে একটি কর্মী সভার আয়োজন করেন আরাবুল ইসলাম। সেই সভায় ভাঙড়ের দশটি অঞ্চল থেকে প্রধান, উপ প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিরা যোগদান করেন। আরাবুলের ডাকে জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলার সভানেত্রী মোনমোহিনী বিশ্বাস, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল, জেলার যুব সভাপতি অভীক মজুমদার প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন।
তৃণমূল জমানায় ভাঙড় মানেই আরাবুল, কাইজার, ওহিদুল ও নান্নুর আলাদা আলাদা গোষ্ঠী ও সেইসব গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি। কয়েক মাস আগে কঠিন অসুখে নান্নু হোসেন ও ওহিদুল ইসলাম মারা যান। তারপর থেকেই জেলা সভাপতির নির্দেশে আইএসএফের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করার বার্তা দেন আরাবুল ও কাইজার।
এদিনের আরাবুলের সভায় যোগ দিয়ে কাইজার বলেন, ‘আরাবুলদা খুব ভাল মিটিং করছে, প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছে।মাঠ আরও বড় হলে ভাল হত’। পাল্টা আরাবুল বলেন, ‘কাইজার অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক, সারা বছর মানুষের পাশে থাকে।‘ পরষ্পরের পিঠ চাপাড়ানি দেখে অবাক ভাঙড়ের নীচুস্তরের তৃণমূল কর্মীরা। কাইজার ছাড়াও এদিন আরাবুল বিরোধী বলে পরিচিত হবিবর রহমান বিশ্বাস, বাহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মোদাসের হোসেন, অহেদালি শেখ, জুলফিক্কর মোল্লা, ইব্রাহিম মোল্লার নেতৃত্বে এদিন কয়েক হাজার কর্মী ওই সভায় যোগ দেন। কাঁঠালিয়া থেকে মোদাসেরের যে বিশাল মিছিল বার করে তাতে ৯১ রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে দীর্ঘক্ষুণ, আটকে যায় শুভাশিসের গাড়ি। শুভাশিসবাবু তাতে রাগ না করে পাল্টা সার্টিফিকেট দেন মোদাসেরকে। বলেন, ‘ও ভাল ছেলে, ও কিছু বক্তব্য রাখলে সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। অথচ ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডাগিরি গুলো ভাইরাল হচ্ছে না’।