শুভজিৎ দেবনাথ, ধূপগুড়ি: ঘুম পাড়ানির গুলিতেই কাবু। তবে কোনো বন্যপ্রাণী নয়, এবার ক্ষেপা ষাঁড়কে গুলি করতে হল বন দফতরকে। রাজ্যে হয়তো এই প্রথম ঘুমপাড়ানি গুলি করা হল কোনো গৃহপালিত পশুকে!
জানা গেছে, ধূপগুড়ির কলেজ পাড়া এলাকায় গত দুমাস ধরে একটি ষাঁড় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই ষাঁড়ের হামলায় আহত হয়েছেন আট জন। যার মধ্যে দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রায় কুড়িটির ওপর বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এই ষাঁড়টি। পাগল নয়, তবে তার হিংস্রতা এতই বেশি যে, পাশ দিয়ে কোনো মানুষ গেলেই তেড়ে যাচ্ছিল। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন সকলকেই হস্তক্ষেপ করতে হয় বিষয়টিকে। পরিস্থিতির বেগতিক দেখে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ধূপগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন।
রবিবার বিকেলে জেলাশাসকের নির্দেশে অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদিন বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখা স্কোয়াডের কর্মীরা রীতিমত বাঘ ধরার মতো প্রস্তুতি নিয়ে ট্রাংকুলাইজার টিমসহ্ পৌঁছায় ধূপগুড়ি খলাইগ্রাম এলাকায়। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। অবশেষে বিট অফিসার রাজীব চন্দ্র দে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করে সেই হিংস্র ষাঁড়টিকে। প্রায় ত্রিশ জন গ্রামবাসী মিলে সেই ষাঁড়টিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে উদ্ধার করলে আতঙ্ক মুক্ত হয় এলাকাবাসি। এই দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, এই প্রথম বনদফতর কোন গৃহপালিত প্রাণীকে ট্রাংকুলাইজ করল। জেলাশাসকের নির্দেশে আমরা সেখানে যাই। জেলাশাসক আমাদের জেলা বন আধিকারিকে জানান। তারপরই তারা হস্তক্ষেপ করে আমাদের নির্দেশ দিলে আমরা ঘুম পাড়ানির গুলি করি।