পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অশান্ত ত্রিপুরা। পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হল ত্রিপুরা। রবিবার সায়নী ঘোষের গ্রেফতারের পর থেকেই উত্তাপের পারদ বাড়তে শুরু করেছিল, আর যে আগুনে ঘি ঢাললো অভিষেকের পথসভা বাতিলের নির্দেশ। আগরতলায় সোমবার অভিষেকের পথসভা বাতিল করে দিল ত্রিপুরা পুলিশ।। এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে এই নির্দেশের কথা জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলার কারণে এই মিছিল বাতিলের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আগরতলায় রোড শো- মিছিলের অনুমতি নেই। কোনও দলকেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে এই নির্দেশের পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন অভিষেক বলেন,’ আমাদের ধমকে চমকে দমিয়ে রাখা যাবে না, আমরা মাথা নত করব না।’
অন্যদিকে আজ দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা পৌঁছনোর পরে বিমানবন্দরে পড়ে থাকা একটি কালো ব্যাগকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগরতলা বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে, যেখানে ভিআইপি পার্কিং করা হয়, সেখানে একটি কালো রঙের ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে সিআইএসএফ। ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপেক্ষায় থাকা কনভয়।
অন্যদিকে সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে আগে থেকেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা। যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে ১২০ বি, ৫০৬, ১৫৩ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সোমবার সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হন দিলীপ ঘোষ। এদিন মর্নিং ওয়াকে হাঁটতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় খেলা হবে বলার সাহস দেখান কী করে সায়নী? পুলিশ ঠিক কাজ করেছে।’
উল্লেখ্য, এর আগেও ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল। রক্তাক্ত ও আহত হয়েছিলেন তৃণমূল যুব নেতা সুদীপ রাহা, যুব নেত্রী জয়া দত্ত, আহত দেবাংশু ভট্টাচার্য। আক্রান্ত হন রাজ্যসভার তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব। এই হামলার প্রতিবাদে এবং আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবারেও এবার সায়নীর গ্রেফতারীর প্রতিবাদ জানিয়ে পাশে দাঁড়াতে আসেন অভিষেক। তবে তার পথসভা বাতিল করল ত্রিপুরা পুলিশ।
এদিকে অভিষেক বলেন, ‘কি কারণে সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্লোগান দেওয়ার জন্য? ‘খেলা হবে’ কথা তো প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন। বিজেপি তাণ্ডব চালালেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানছে না বিজেপি। পুলিশ খালি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে এই রাজ্যে। আমরা কোনও দিন মিছিলের অনুমতি পাই না। আমাদের ওপরে বহুবার হামলা হয়েছে।’