পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : হায়দারপোরা এনকাউন্টারে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশাপাশি উপত্যকার সমগ্র জনগণের কাছে ক্ষমা চান জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। শুধু তাই নয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মেহবুবা।নির্দোষ নিহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আবেদনও জানান তিনি।
এদিন মেহবুবা তাঁর দলের কর্মীদের একটি প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন। গুপকার রোডে নিজের ‘ফেয়ারভিউ’ বাসভবন থেকে রাজভবন পর্যন্ত ছিল মেহবুবার মিছিল।
তিনি এদিন এনকাউন্টারে নিহত তৃতীয় ব্যক্তি আমির মার্গের লাশ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন।এর আগেও তিনি এই দাবি করেছেন। রাজ্যপালের বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশের পরই কবরস্থ দু’জনের লাশ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। রবিবার ফের জম্মুর রামবন এলাকায় এনকাউন্টারে নিহত আমিরের লাশ ফিরে পাওয়ার আবেদন করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
মেহবুবা বলেন, দ্রুত বিচারবিভাগীয় তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। এনকাউন্টারের যাদের হত্যা করা হয়েছে পুলিশের দাবি মোতাবেক ‘জঙ্গি’ ছিল কিনা তা নিয়ে সেই প্রথম থেকেই সন্দেহ রয়েছে।আমাদের কাউকেই নিহত এই চারজনের লাশ কিংবা মুখ দেখতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় অগণিত প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে।মেহবুবা বলেন, তাদের মানব ঢাল বানানো হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আমাদের কাছে সে তথ্যও রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বর্তমানে দেশ চলছে বিজেপি-আরএসএস-এর এজেন্ডায়।কাশ্মীরে আজ আর আমাদের কোনও অধিকার নেই। ৩৭০ ধারা বাতিল করে সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী দেশ বা জম্মু-কাশ্মীর পরিচালিত হচ্ছে না। বিজেপি-আরএসএস-এর এজেন্ডা অনুযায়ী তা পরিচালিত হচ্ছে।মুফতি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য হওয়ায় এখানে আরও নিপীড়ন চলছে।
কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে মেহবুবা বলেন, ওরা এখানে গণতন্ত্রের জানাজা বের করেছে।প্রতিবাদ তো দূর।ওরা কাউকে কথা বলতে দেয় না। সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওদের উচিত এই নিপীড়নের জন্য ক্ষমা চাওয়া।