পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গুরুগ্রামে জুম্মার নামায নিয়ে ভীষণ সমস্যায় রয়েছেন সেখানকার মুসলিমরা।স্থানীয় পাঁচটি গুরদুয়ারা কমিটি তাদের নিজেদের প্রাঙ্গনে জুম্মার নামাযের প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে শুক্রবার তার একটিতেও নামায হয়নি। হিন্দুত্ববাদীরা যথারীতি কলকাঠি নেড়ে গুরদুয়ারায় নামায বন্ধ করে দেয়।অবশ্য শুক্রবার জুম্মার নামাযের জন্য নিজের দোকান খুলে দেন অক্ষয় যাদব।
রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ আদিব, অক্ষয় যাদবের দোকানে নামায পড়ান। তিনি বলেন, “যখন গুরুদুয়ারা কমিটি তাদের নামাযের প্রস্তাব দিয়েছিল , তখন কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা তাদের চাপ দেয়।আমরা বুঝতে পেরেছিলাম গুরুদুয়ারা চাপের মধ্যে রয়েছে। আমরা গুরদুয়ারাকে বলেছি, তাদের অসুবিধা করব না। আমাদের নামায পড়ার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য তাদের আমরা ধন্যবাদ জানিয়ে আসি।”
গুরুগ্রামে মুসলিম কাউন্সিলের আলতাফ আহমেদ বলেছেন, “কট্টরপন্থীরা ঘৃণ্য কৌশল অবলম্বন করে মুসলমানদের জুম্মার নামায পড়া থেকে বিরত রাখতে চাপ সৃষ্টি করছিল। শুক্রবার শিখ সম্প্রদায়ের একটি বড় উৎসব ছিল। ভক্তদের বিশাল ভিড় প্রত্যাশিত ছিল।আমরা নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাইনি৷ তাই, গুরুদ্বার সাহিব এবং গুরুগ্রাম মুসলিম কাউন্সিলের কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই সপ্তাহে গুরুদ্বারে নামায পড়া হবে না।”
সেক্টর ৩৭-এও আশান্তি বাধাতে কসুর করেনি বিদ্বেষী কট্টরপন্থীরা। ১৫-২০ জন লোক খেলার মাঠে নামায পড়তে বাধা দেয়, পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছিল যে সেখানে তারা ক্রিকেট খেলতে চায়। পুলিশ তাদের ১০ নম্বর সেক্টর থানায় নিয়ে গিয়ে কথা বলে । বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে বলেছে যে তারা আগামী সপ্তাহ থেকে সেক্টর ৩৭ তেও ওরা নামায পড়তে দেবে না। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু লোক নামায পড়তে সমর্থ হলেও বাকিদের চলে যেতে হয়েছিল।
সেক্টর ১২-এর অটোমোবাইল মার্কেটের দোকানদার আসিফ খান বলেছেন, বেশিরভাগ লোক অক্ষয় যাদবের দোকানে নামায পড়েন। তিনি বলেন,“আমরা গত সপ্তাহেও এখানে নামায পড়েছি। তার এক সপ্তাহ আগে অবশ্য আমরা বাইরে নামায পড়েছিলাম। সেখানেও ওরা ঝামেলা বাধায়।”
“খ্রিস্টানরাও আমাদের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।অক্ষয় যাদব যেমন সাহায্য করেছেন তেমনই শিখ এবং খ্রিস্টানরাও সহযোগিতার সদর্থক বার্তা দিয়েছে। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। গুরগাঁওয়ের সরকারী বা ব্যক্তিগত জমি থেকে জমি পেলে সেখানে আমরা মর্যাদার সঙ্গে নামায পড়তে পারি। অক্ষয়ের দোকানে নামায পড়া কোনও সমাধান নয়।এর জন্য মুসলমানদের নতুন উপায় খুঁজে বের করতেই হবে,” বলেছেন আলতাফ।