মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়া স্টেডিয়ামকে নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিল উলুবেড়িয়া পুরসভা। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উলুবেড়িয়া স্টেডিয়ামের খেলাধুলা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারনে মাঠের অধিকাংশ জায়গার ঘাস হলুদ হয়ে যায়। মাঠে বিভিন্ন জল জমে যাওয়ার কারণে মাঠের অবস্থা খেলাধূলার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। সে কারনে নতুন করে মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ নিল উলুবেড়িয়া পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে মাঠটি সংস্কার থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কলকাতার একটি নামী সংস্থাকে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে।
২০১১ সালে উলুবেড়িয়ায় নির্বাচনী জনসভায় এসে উলুবেড়িয়ার মানুষকে উলুবেড়িয়া ষ্টেডিয়াম মাঠ তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর উলুবেড়িয়াবাসী পায় আধুনিক সুবিধাযুক্ত ষ্টেডিয়াম। খেলাধুলা শুরু হয়। বিগত দুই বছর করোনা অতিমারীর কারনে খেলাধূলা বন্ধ হয়ে যায়। আর দীর্ঘদিন খেলাধূলা না হওয়ার কারনে মাঠ বেহাল হয়ে ওঠে। উলুবেড়িয়া পুরসভার পক্ষ থেকে আপাতত মাঠটি ব্যবহারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরই মাঠটি নতুন করে সংস্কার করার পরিকল্পনা করে উলুবেড়িয়া পুরসভা। পুরসভা ইতিমধ্যে মাঠ সংস্কারের জন্য কলকাতার একটি নামী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। সেই সংস্থার প্রতিনিধিরা মাঠ পরিদর্শনও করেছে।
এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অভয় দাস জানান, উলুবেড়িয়া ষ্টেডিয়ামের সাথে ক্রীড়াপ্রেমী উলুবেড়িয়াবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে। মানুষের সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ নতুন করে সংস্কার করে খেলাধূলার উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন। অভয় বলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়কে অনুরোধ করেছিলাম বিষয়টি দেখার জন্য। অভয় দাস বলেন, মাঠটি সংস্কার হয়ে গেলে এবং করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে গেলে পুনরায় মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতা ছাড়াও কলকাতার লিগের ফুটবল খেলা করার পরিকল্পনা আছে।‘
অন্যদিকে মাঠটি সংস্কারের পাশাপাশি কলকাতার একটি নামী সংস্থাকে দিয়ে স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু।