কৌশিক সালুই,বীরভূম: সরকারি আবাস যোজনা বাড়ি প্রকল্পের সার্ভে ঘিরে রণক্ষেত্র হলো এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাঁড়া গ্রামে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজি এবং গোলাগুলি। ঘটনায় কয়েক জন গুরুতর জখম । আগ্নেয়াস্ত্রসহ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পদুমা তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ও কার্যকরী সভাপতি তরুন গড়াই এর গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এদিন। যদিও দুই পক্ষই বিষয়টি অস্বীকার করে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হামলা বলে দাবি করেছে। আক্রান্তদের দাবি দুবরাজপুর ব্লক থেকে গ্রামে সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি প্রকল্পের জন্য সার্ভে করতে যান ব্লক আধিকারিকরা। তারপর তাঁরা মুকুল গোষ্ঠীর বুথ সভাপতি গফ্ফর খানের বাড়ীর পাশে সার্ভে করছিলেন ব্লক আধিকারিকরা। তখন তরুন গড়াই গোষ্ঠির লোকেরা জিজ্ঞাসা করতে যান তাঁদের পাড়ায় কখন সার্ভে হবে। এতেই শুরু হয় বচসা। তা থেকে গোলাগুলি ও বোমাবাজি শুরু হয়।
এই ঘটনায় প্রায় জনা দশেক জখম হয়েছেন। এরপরে ওই গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ৭জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুবরাজপুর ব্লক বিডিও রাজা আদক বলেন,” এদিন কিছু সরকারি আধিকারিক সামাজিক নিরীক্ষণ করতে ওই গ্রামে গিয়েছিল সেখানেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ হয়। তারপরেই আমাদের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে ফিরে চলে আসে”। স্থানীয় বিজেপির বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন,” এ দিনের ঘটনা শুধু দুবরাজপুর নয় সারা পশ্চিমবঙ্গ কে কলঙ্কিত করেছে”। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন,” স্থানীয় একটি খেলার মাঠের দখলদারির জন্য গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গন্ডগোল হয়ে আসছে।এদিন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী কোন্দল বা রাজনৈতিক বিষয় নয়”।