কৌশিক সালুই বীরভূম: ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকায় যেতে গিয়ে স্থানীয় মানুষজনের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতারা। বৃহস্পতিবার ডেউচা তে মুখে কালো কাপড় বেঁধে কালো পতাকা হাতে নিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান দেওয়া হলো তাদের গাড়ি ঘিরে। স্থানীয়দের দাবি উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি নেতারা। এছাড়া লাকড়া পিটিয়ে আদিবাসীদের কে সমবেত হওয়ার ডাক দিলেও বিজেপি নেতাদের কাছে আসেননি আদিবাসীরা। বাধ্য হয়ে বাছাই করা তাদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে ফিরে গেলেন নেতারা। ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের আর্থিক প্যাকেজ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা হতেই অশান্তির ছায়া এলাকায়।
এদিন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় তপশিলি উপজাতি মোর্চার সর্বভারতীয় সম্পাদক ক্ষুদিরাম টুডু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোনালী মুর্মু এবং জেলার নেতৃত্ব প্রস্তাবিত এলাকায় আসেন। তার আগে ডেউচা তে জাতীয় সড়কের উপর তাদের গাড়ি ঘিরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। পরে মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ এসে বিজেপি নেতাদের গাড়ি বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পার করে দেয়।
প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছাতেই লাকরা বাজিয়ে কয়লা নিয়ে মিটিং হবে এবং স্থানীয় খেলার মাঠে সকল গ্রামবাসীদেরকে উপস্থিত হওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সেই আবেদন কোনো গ্রামবাসী সাড়া দেয় নি। বাধ্য হয়ে তাদের গুটিকয়েক কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলে সেখান থেকে বারোমেসিয়া এবং কেন্দ্রপাহাড়ি হয়ে ফিরে যান তারা।
এদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে লাকরা বাজানো কে তাদের সমাজের অপমান বলে অভিযোগ তুললেন বীরভূম জেলা আদিবাসী গাঁওতা নেতা রবিন সরেন। তিনি বলেন আমাদের সমাজের রীতি হল কোনো কোথাও বিপদ হলে বা কেউ সমস্যায় পড়লে এই বাদ্য বাজিয়ে সকলকে নির্দিষ্ট জায়গায় উপস্থিত হওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। কিন্তু এদিন বিজেপির নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করেছে। আমরা এই ঘটনার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছি। স্থানীয় বাসিন্দা শান্তি গোপাল ব্যানার্জি বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্প ঘোষণা করেছে তাতে সকলের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা আছে পাশাপাশি প্রকল্প রূপায়ণ হলে জেলা তথা রাজ্যের আর্থসামাজিক অবস্থা বিপুল বদলে যাবে। এখানে বিজেপি নেতারা উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করতে এসেছে তাই আমরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি