কৌশিক সালুই ,বীরভূম:বীরভূমের কাঁকরতলা থানার পারসুনডি গ্রাম পঞ্চায়েতের নবসন গ্রামের মিঠুন বাগদি খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই । ধৃত ব্যক্তিকে সোমবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
মিঠুন বাগদির খুনের ঘটনায় অশোক বাগদি নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই ।ধৃতকে পশ্চিম বর্ধমানের গোপালপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গিয়েছে । এদিন তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। প্রসঙ্গত খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল থেকে বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর মিঠুন বাগদি খুন হয়েছিল গত ১২ জুন সন্ধ্যায়। সেই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগে পরবর্তী সময়ে।২৮ আগস্ট সিবিআই নবসন গ্রামে সেই ঘটনার তদন্ত করতে আসে। সিবিআই আধিকারিকেরা স্থানীয় কিছু মানুষ জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে সে মিঠুনকে কিভাবে কুপিয়ে থেতলে মারা হয়েছে, কোথায় পড়েছিল সেই সময় জল চাইলেও কেউ তাকে জল দিয়ে সাহায্য করেন সেসব তথ্য সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে শেয়ার করেন তারা। পাশাপাশি অনেকে এও বলেন ওই ঘটনা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়।
মৃত ব্যক্তি বিজেপি কর্মী এবং যারা মেরেছিল তারা তৃণমূল সমর্থক হলেও পূর্ববর্তী একটি খুনের ঘটনার আক্রোশ থেকেই সেদিনের খুন সেটাও জানিয়ে দেন তারা।
প্রসঙ্গত মিঠুন বাগদি খয়রাশোল গ্রামীণ মন্ডল এর সহ-সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ ঘটনার সন্ধ্যায় একদল দুষ্কৃতী তার বাড়িতে হামলা করে কুপিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেতলে খুন করে তাকে। বিজেপির অভিযোগ ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা খুন করেছে তাকে। যদিও সেই সময় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পুলিশের দাবি ছিল ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই পূর্ব আক্রোশে এই পাল্টা খুনের ঘটনা। গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছিল মিঠুনের খুনের ঘটনার মাস ছয়েক আগে তার গাড়ির ধাক্কায় গ্রামের রাজু বাগদি এক যুবক মারা যায়। মৃত ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই ধাক্কা মারা হয়েছিল। সেই সময় ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৫ জুন জামিনে মুক্ত হয়। ঘটনার পর মিঠুন সহ তার পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছিল। ১২ ই জুন ঘটনার দিন সকলে তারা বাড়ি ফিরে ছিল। বাড়ি ফিরতেই রাজুর পরিবার মিঠুন ও তার পরিবারের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। হামলার সময় বাকি সকল লোকজন পালাতে সক্ষম হলেও মিঠুন পালাতে পারেনি আক্রমণকারীদের হাত থেকে। আক্রমণকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে থেতলে দেয় মিঠুনকে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মিঠুনের নিকট আত্মীয় কার্তিক বাগদির অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ লক্ষী বাগদি, কল্পনা বাগদি, সুন্দরা বাগদি, প্রতিমা বাগদি এবং অনিল বাগদিকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময়ে তারা জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। এছাড়া সিবিআই এর হাতে ন গ্রেপ্তার হওয়া ধৃত অশোক বাগদী মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে দাদা। অভিযোগপত্রে তার নাম ছিল।