পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃরাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে আজ সোমবার মনোনয়ন জমা দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলিইরো (Luizinho Faleiro) ।
মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আজই বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে লুইজিনহো কে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল।
রাজ্যসভায় অর্পিতা ঘোষের (Arpita Ghosh) ছেড়ে যাওয়া আসনে নতুন প্রার্থীর নাম গত ১৩ তারিখই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। টুইট করে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহোর নাম ঘোষণা করেছেন। এই আসনে ভোট হবে ২৯ নভেম্বর। তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার পরপরই জাতীয় স্তরে নতুন পদ পেয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত মাসে তাঁকে দলের জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মত গোয়াতেও নিজেদের জমি শক্ত করতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই গোয়া সফর করে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে সেই সফরে। বিজেপির হিন্দুত্ববাদের যে অ্যাজেন্ডা তাও অনেকটাই ফিকে খ্রীস্টান অধ্যুষিত এই রাজ্যে।
গোয়ার মানুষ দেখে এসেছেন কংগ্রেসের সময়কাল, বিজেপির জামানাও তারা দেখছেন। সেই কারণে বিকল্প হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোড়াফুলকে বেছে নেওয়ার কথাও তারা ভাবনাচিন্তা করছেন।
২০২২ সালে গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তার জন্য অঙ্ক কষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। লিয়েন্ডার পেজ, অরুণা আসফ আলীর মত একাধিক তারকা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে।
আগামী ২৯ নভেম্বর রাজ্যসভার এই শূণ্য আসনে উপনির্বাচন।বাংলায় এই আসনে আদৌ উপনির্বাচনের দরকার পড়বেনা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর আগে দুটি আসনে বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থীরা।