পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দূষণ নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) প্রধান বিচারপতি তোপের মুখে পড়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। তারপরেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি সরকার। সাতদিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ সহ ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস করার নির্দেশ জারি হয়। সেইসঙ্গে বেসরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফর্ম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এবার দূষণ রোধে সম্পূর্ণ লকডাউনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল কেজরিসরকার। গোটা এনসিআরে লকডাউন করতে তবে তা কার্যবহ হবে বলে জানিয়েছে কেজরি সরকার। দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ নিকটবর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউন (Lockdown) জারি করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা আরও সহজ হবে। সর্বোচ্চ আদালতে শুনানিতে জানাল দিল্লি সরকার।
দূষণে মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে রাজধানী। বাতাসে বিষবাষ্প। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাবে চলতে শারীরিক নানান উপসর্গের সঙ্গে গড় আয়ু কমতে পারে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে প্রধানবিচারপতির অসন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এইভাবে চলতে থাকলে আমরা বাঁচব কিভাবে? দিল্লির সরকার এই ব্যাপারে কি পরিকল্পনা নিয়েছ। তাহলে কি এবার দুদিনের লকডাউন করতে হবে?
শীর্ষ আদালতে এই কড়া ধমকের পরে নড়েচড়ে বসে দিল্লি সরকার। তারপরেই রাজধানীতে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তখন কেজরি সরকারজ জানান, ‘এখনই লকডাউন নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা নেই সরকারে’ ।
সোমবার দূষণ রোধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল জানান, ‘মাঠে ফসলের অবশেষ অংশ পোড়ানোর জেরে দূষণের পরিমাণ সামান্য। ১০০ শতাংশ দূষণের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশই এর জন্য দায়ী।’
গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (Graded Response Action Plan) সাব কমিটি ইতিমধ্যে দূষণ থেকে বাঁচতে অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিস এবং অন্যান্য সংস্থাকে ৩০ শতাংশ গাড়ির ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে বাড়িতে থাকা এবং বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে।
জরুরি অবস্থার অংশ হিসেবে দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ নিষেধ, নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যমুনার জলে দূষণের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। জলে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা ফেনা। পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, যমুনার জলে অ্যামোনিয়া ও ফসফেটের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এই রকম ফেনায় ভরে গেছে জল।
পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, কল-কারখানার বর্জ্য পদার্থ যমুনা নদীর জলে অত্যধিক পরিমাণে মিশে যাওয়ার ফলেই দূষণের মাত্রা মারাত্মক আকারে বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় যমুনার জল ব্যবহার ও স্নান বিপজ্জক।