শীতকালে পায়ে ব্যথা ইদানীং একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় কম বেশি মানুষ এই সমস্যায় কষ্ট পান। আর শীতকালে এই পায়ের ব্যথা তুলনামূলকভাবে বাড়ে। রাস্তায় চলা হাঁটা থেকে বসা ওঠা দাঁড়ানো সবই একরকম সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যথা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, অনেকেই সেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বের হতে ভয় পান। এই বিষয়ে জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. প্রকাশ মল্লিক।
ডা. মল্লিক জানান, অনেককেই পায়ের ব্যথায় কষ্ট পেতে হয়। তাপমাত্রা যত কমতে থাকে– ততই বাড়তে থাকে পায়ের ব্যথা। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে হাঁটু বা পায়ে ব্যথা খুব মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায় শীতকালে। সাদারণত এই কয়েকটি কারণে বাড়ে পায়ের ব্যথা।
মাংসপেশিতে খিঁচ ধরাঃ শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যার প্রভাবে মাংসপেশিতে টান ধরে। কারণ– পেশি ততটা নমনীয় থাকে না। এদিকে নানা কাজে পেশির ব্যবহার করতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান ধরে– ফলে ব্যথা হয়।
শারীরিক চাপঃ শীতকাল এবং বিশেষ করে বরফে আবৃত এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় শারীরিক চাপ বেড়ে যায়। ফলে পায়ে– হাঁটুতে ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক।
আর্থারাইটিসঃ বাতের সমস্যা কিংবা আর্থারাইটিস শীতকালে আরও বেড়ে যায়। তদুপরি বর্ষার সময়ও বাতের সমস্যায় ভুক্তভোগীরা কষ্ট পেয়ে থাকেন। বায়োমেট্রিক চাপ এই সময়ে হ্রাস পাওয়ায় তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়– ফলস্বরূপ ব্যথা হয়।
ফাইব্রোমায়ালজিয়াঃ অনেক সময় বোঝাই যায় না যে– সমস্যা কেন হচ্ছে বা ঠিক কোথায় সমস্যা? এই অবহেলার ফলে পা থেকে শরীরের অন্য জায়গায় ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মাংসপেশি বা গাঁটে ব্যথা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সায়াটিকাঃ শীতকালে ব্যথা হওয়ার অন্যতম কারণ হল সায়াটিকা। এই নার্ভটা শরীরের মধ্যে সবচেয়ে বড়– এতে চাপ বাড়লে শরীরে অস্বস্তি হতে থাকে এবং ব্যথা হয়। শীতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিশেষভাবে ফলপ্রসূ।