পুবের কলম ডেস্ক : কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবারই ভোট প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার জেলাশাসকের পাশাপাশি কলকাতার নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনারও। আজ শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। বৈঠকে থাকার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকারও থাকার কথা।
কমিশন সূত্রে খবর, বিরোধীরা দাবি করলেও দুই যমজ শহরের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে না। পরিবর্তে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ দিয়েই ভোট করানো হবে। তবে ভোটের নিরাপত্তায় কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার কিংবা হোমগার্ডকে সংযুক্ত করা যাবে না বলে আজকের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে স্পষ্টভাবে জানানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন ঘিরে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্থ করারও নির্দেশ দেওয়া হবে। বিশেষ করে সব দলের প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার উপরেই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রস্তাব মেনে আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবার কলকাতার ১৪৪টি ও হাওড়া পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে ভোট হওয়ার কথা। তার মধ্যে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা চার হাজার ৭০০টি। আর হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে মোট এক হাজার ২১৩ টি বুথ রয়েছে। হাতে যেহেতু পর্যাপ্ত সময় নেই তার জন্য এমার এম-২ টাইপের ইভিএমেই ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের। ১৭ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতে পারে। আর তার তিন দিন বাদে ২০ নভেম্বর নির্বাচনের চূড়ান্ত নির্ঘন্ট ঘোষণা করার কথা ভেবে রেখেছেন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। ২৫ নভেম্বর জারি হবে বিজ্ঞপ্তি। ওইদিন থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে মনোনয়ন জমা নেওয়ার কাজ চলবে। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করা হবে। পরের দিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।