দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আপত্তি টিকল না, দেড়শো আসনের মেডিক্যাল কলেজ মঞ্জুর হল বোলপুরে। আর তাতেই স্বস্তিতে বোলপুরবাসী। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেও শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ বোলপুর শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ২০০ বিঘা জায়গাজুড়ে এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজটি ক্লাস চালু করার জন্য একরকম প্রস্তুত৷
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে আরেকটি মেডিক্যাল কলেজ। জেলায় আরেকটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রামপুরহাটে। তাছাড়াও পিপি মডেলে তৈরি এই মেডিক্যাল কলেজে যুক্ত আছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অর্থ সাদা করার জন্য টাকা খাটানো হচ্ছে এরকম একাধিক কারন দেখিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, বোলপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে তৈরি হচ্ছে বেসরকারি ‘শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ’। রাজ্য সরকার অনুমোদ দিলেও আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে এই মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে৷ অনুব্রত যুক্ত এই কলেজের সঙ্গে৷ এছাড়া, ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি মেডিক্যাল কলেজ হয় না৷ কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। এইরকম ৯ টি অভিযোগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আপত্তির জেরে অনুমোদন স্থগিত করে ছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যা নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ শুভেন্দু অধিকারী আপত্তি দিয়ে চিঠির জন্য অনুমোদন স্থগিত হওয়ার পরও এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ছাড়পত্র মিলল। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুব্রতর গড়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিল।
এ ব্যাপারে মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম কর্ণধার মলয় পীট বলেন, “কোন ভুল বোঝাবুঝির জন্য শুভেন্দু অধিকারী আপত্তি জানিয়েছিলেন। এই অনুমোদন পেয়ে আমরা খুব খুশি, বোলপুরবাসী খুশি৷ অনেক সাধারণ মানুষ এরফলে উপকৃত হবেন।”