সফিকুল ইসলাম (দুলাল), বর্ধমান: মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে অকুতোভয়ে বিষাক্ত সাপকে পাকড়াও করা তার কাছে নিত্যব্যাপার। সাহস ও দক্ষতার জেরে বর্ধমান রেঞ্জের বনকর্মী হারাধন বৈরাগ্য এখন খুব পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। অরণ্যসাথী পদে কর্মরত হারাধন বর্ধমান বনবিভাগের কর্মী। মূলত বর্ধমান শহর বা তার আশেপাশের এলাকায় বিষাক্ত সাপ ধরতেই তার ডাক আসে। আর সেই ডাকেই ছুটে গিয়ে জ্যান্ত সাপকে উদ্ধার করাই তার প্রধান কাজ। প্রথমে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে বনবিভাগে যোগদান করলেও বর্তমানে সে স্থায়ী কর্মী। গোখরো, চন্দ্রবোড়া, কেউটে, শাখামুটি সহ সমস্ত বিষাক্ত সাপ ধরতে তিনি দক্ষ।
জানা গেছে, প্রতিমাসে ২৫-৩০ টি সাপ ধরার ডাক পড়ে তাঁর। বন্য প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ার পর সাপ মারার প্রবণতা অনেক কমেছে। তাই সাপের দেখা মিললে মানুষজন বন দপ্তরে খবর দেয়। আর তাতেই হাজির হয়ে যান হারাধন ও তার দুজন সঙ্গী।
হারাধনবাবু জানান, সাপ ধরার কাজ ভীষন সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। সামান্য ভুলে জীবনহানি ঘটতে পারে। কথা বলতে বলতে হারাধনবাবু বলেন অনেক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তারা। যেমন পোলেম পুর এলাকায় একটি অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে গোখরো সাপ ঢুকে গেল তাদের কাছে খবর আসে। দুই সঙ্গীকে নিয়ে সেখানে হাজির হন হারাধনবাবু। সাপ ধরার মুহুর্তে বাড়ির ছাদ থেকে ভয় পেয়ে দুজন দর্শক তার সঙ্গীদের উপর ঝাঁপ দিয়ে দেয়। ফলে তিনি সাপ ধরবেন নাকি সঙ্গীদের বাঁচাবেন তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। তবে তিনি জানান সাপ ধরা তার কাছে ভীষন রোমাঞ্চকর বিষয়।