পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২১ সালের নিট-এ মিশনের অতুলনীয় ফলাফল গত বছরকেও ছাপিয়ে গেছে। মেডিকেলে সর্বভারতীয় এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রায় ১৬ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে রাজ্যের একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মিশনের পাঁচশোর বেশি ছাত্র-ছাত্রী সাফল্য পেয়েছে। বেশি সাফল্য মানেই অভিভাবকদের চাহিদা ও পছন্দের বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যেই গত ৭ নভেম্বর শুরু হল সাঁতরাগাছির নতুন ক্যাম্পাস ’আল-আমীন এক্সেলেন্ট একাডেমি’। যেখানে নিট-এর জন্য একশো কুড়িজনের বেশি ছাত্রী পড়াশোনা করতে পারবে। ক্যাম্পাসটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রীরাও এখানে নিট-এর কোচিং করতে পারবে। সঙ্গে থাকছে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম মিশনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিশনের সাড়ে তিন দশক বেশ কিছু কঠিন পথকে অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছে, কারণ কোনও সাফল্য সহজে আসে না। আমাদের নিজেদের মধ্যে কি শক্তি ও সম্ভাবনা আছে সেটিও সম্যকরূপে আমরা জানি না। ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছোটখাটো অসুবিধাকে অগ্রাহ্য করে মূল লক্ষ্যের দিকেই মানসিক দৃঢ়তা দেখাতে হবে। নিটের সাফল্য কি ভাবে আসবে সেটিই হবে তোমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সমস্ত ধরণের প্রতিকূল অবস্থাতেও হাল ছাড়া বা শিথিল করা যাবে না। প্রায় দুবছর ধরে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মিশনের শিক্ষাক্রম অনলাইনে সম্পূর্ণভাবেই সচল ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নকী আল-আমীনের শিক্ষা-মিশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা যা প্রত্যাশা করি আল্লাহ্ তার চেয়েও বেশি প্রদান করে থাকেন। সাফল্যের উপকরণ হিসেবে তিনি আব্বা-মার দোওয়া ও নিজেদের প্রচেষ্টার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেন।
মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজুর রহমান ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করে জানান, আল-আমীন মিশনে আসাটাই তোমাদের সাফল্যের শতকরা ৫০ ভাগ নিশ্চিত করে দেয়। বাকি ৫০ ভাগ নিজেদের পরিশ্রম ও নিষ্ঠার উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, তোমাদের সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে আরও এক গর্ব তোমরাই এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচের পড়ুয়া। খলতপুর শাখার গার্লস ক্যাম্পাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাসিমা পারভিন বেশ কিছু ছাত্রীর অতুলনীয় অভিজ্ঞতা তুলে ধরে উপস্থিত ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আল-আমীন স্টাডি সার্কলের ডিরেক্টর দিলদার হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল-আমীন মিশনের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আলি, মিশন পরিবারের মুহাম্মদ আলমগীর বিশ্বাস, মুহাম্মদ গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল, খোন্দকার মহিউল হক, নাজমীন আরা, সোহেল জাভেদসহ অভিভাবক-অভিভাবকবৃন্দ।