পুবের কলম প্রতিবেদক: মুন্সি আবুল কাশেম বাংলার সংখ্যালঘুদের শিক্ষাজগতে এক অবস্মরণীয় নাম। তিনি চাকবেড়িয়া-মকরমপুরে ধীরে ধীরে গড়ে তেলেন এক বিশাল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। তবে তিনি এখন অনেকটা ভালো আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গত ২ নভেম্বর দুপুরে মুন্সি আবুল কাশেম সাহেবের হার্ট অ্যাটাক হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনারপুর কালিকাপুরের ইস্পাত কো-অপারেটিভ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর অন্যত্র রেফার করেন। তারপর মুন্সি আবুল কাশেমকে কলকাতার আরএন টেগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাঁর অপারেশন হয়, হার্টে দু’টি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। শনিবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তবে মেয়ের বাড়ি কামালগাজিতে রয়েছেন।
পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান বলেন, শিক্ষাবিদ জনাব মুন্সি আবুল কাশেম আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমি শীঘ্রই তাঁর আরোগ্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি। জনাব মুন্সি আবুল কাশেম শিক্ষায় সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট কাজ করেছেন এবং আধুনিক স্কুল প্রতিষ্ঠায় সেই ৮০-র দশক থেকে তিনি সক্রিয় রয়েছেন। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন শীঘ্রই আবার নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে এসে জাতির জন্য অবদান রাখেন।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যান্য রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাংলায় ছিল না। সেই আশির দশকে মুন্সি আবুল কাশেম গড়ে তোলেন এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনি দীর্ঘ আইনি লড়াই ও সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় করেছিলেন সাংবিধানিক অধিকার। পুরোপুরি না পারলেও অনেকটা সফল হন তিনি। ১৯৮৫ সালে পথচলা শুরু হয় তাঁর পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘শিশু বিকাশ অ্যাকাডেমি’র। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের অনুমোদন দেয় রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপর ২০০৩ সালে চালু হয় মাধ্যমিক এবং ২০০৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ। বর্তমানে বিএড ও ডিএলএড চালু রয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠান ২০০৭ সালে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশান -এর কাছে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়।