দেবশ্রী মজুমদার, মুরারই: চোখের সামনে বড়ো আব্বুর অসহায় মৃত্যু, মনের জেদটা বাড়িয়ে দিয়েছিল আজিজের। তাই দাঁতে দাঁত চেপে পড়া চালিয়ে যায় সে। ছয় ঘন্টার পড়া বেড়ে নয় ঘন্টায় পৌঁছায়। অবশেষে হাতের মুঠোয় চলে আসে কাঙ্খিত সাফল্য। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে চিকিৎসক হতে চাওয়ায় চিন্তার চওড়া ভাঁজ পরিবারের কর্তার কপালে।
নিটে সর্বভারতীয়স্তরে ৩৩১৩ Rank করেছে আজিজ। কাউন্সেলিং এখনো হয় নি। তবে কার্ডিওলজিস্ট হতে চায় সে। বুকের ছটফটানিতে মারা যান বছর সত্তরের তাঁর প্রিয় জ্যেঠু বা বড় আব্বু।
বাবা আবুল কালাম আজাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। সবার ছোট আজিজ। কালাম সাহেবের পোল্ট্রির খুচরা ব্যবসা আছে। নিট পরীক্ষায় সাতশো কুড়ির মধ্যে ছশো পঞ্চান্ন পান তিনি। মুরারই একেএ প্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিকে ছশো সাতষট্টি পেয়ে সারা রাজ্যে তেইশ স্থান দখল করে সে। উচ্চমাধ্যমিকে নব্বই শতাংশের বেশি নম্বর পায় সে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত জ্যেঠতুতো ভাইয়ের আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা স্বীকার করে সে। তাঁদের জন্য আল আমিন মিশনে কোচিং নিতে পারে সে। গত বছর পঁইষট্টি হাজার Rank করে ডেন্টালে চান্স পেলেও যায় নি। কারণ তাঁর বরাবরের একটা লক্ষ্য ছিল কার্ডিওলজিস্ট বা নিউরো নিয়ে পড়ার।
মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, যেদিন আমার ছেলে ডাক্তার হয়ে গ্রামের গরীব মানুষের সেবা করবে, সেদিন হবে আমার প্রকৃত গর্ব করার দিন।