দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুরঃকলকাতার ফাটা কেষ্ট না হলেও, কেষ্টর কালী পুজো কিসিসে কম নেহি! আর দলীয় কার্যালয়ের পুজোকেই মানুষ কেষ্টর কালী বলেই জানে। তৃণমূল কংগ্রেস তরফে অবশ্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন, এ পুজো দলের পুজো, সবার পুজো। মায়ের গায়ে চড়েছে পাঁচশো চল্লিশ ভরি গহনা। মঙ্গলবার বার মূর্তি আসবে। তারপর গহনা দিয়ে মাকে সাজানো হবে। বৃহস্পতিবার মায়ের পুজো। শুক্রবার নিয়ম মাফিক প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। তিন দিন প্রতিমা থাকবে। সবাইকে দেখার আমন্ত্রণ।
মায়ের কাছে প্রার্থনা যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে শান্তিতে সমৃদ্ধিতে রেখেছেন, যেভাবে উন্নয়নের কাণ্ডারি অনুব্রত মণ্ডল পিছিয়ে পড়া জেলা থেকে বীরভূমকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, সেভাবেই সব কিছু চলতে থাকুক।
জানা গেছে, জেলার এত কর্মী, বিধায়ক, মন্ত্রী আছেন, সবাই মিলে মাকে নিজের ইচ্ছায় মাকে এই গহনা দিয়েছেন। এখনও অনেকে দিতে আসছেন। আগে তৃণমুলের পার্টি অফিসে শক্তি আরাধনায় মায়ের গলায় সোনার মুন্ডু মালা পরিয়ে পঞ্চায়েত জয়ের মানসিক পূর্ন করার রেকর্ড আছে কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মন্ডলের। একুশে জয়ের জন্য সোনার মুকুটের কথাও বলেন। পার্টি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই পার্টি অফিসে কালী পুজো হয়ে আসছে প্রতিবছর। এর আগে অনুব্রত কংগ্রেসে থাকাকালীন ও পুজো করতেন। কেষ্ট মন্ডলের কথায়, “আমি ১২ বছর বযস থেকে পুজো করে আসছি। নিজেই ছোট বেলায় প্রতিমা গড়তাম। পরে একটু বড় হযে পাড়ার গলির ভিতর করতাম এই পুজো। তবে ১৯৮৮ সাল থেকে পার্টি অফিসে পুজো করে আসছি।”
কেষ্ট পুজোয় আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখেন না ষোড়শ উপাচারে দেবীর পুজো হয পঞ্জিকা মেনে।সারা দিন উপবাসী হয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেন অনুব্রত মন্ডল। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য জেলা প্রায় সব তৃণমূল নেতাই হাজির থেকে মা কে অলংকার উপহার দেন। তাদের কেউ বা মনস্কামনা পূর্ন হবার জন্য আবার কেউ ভালোবেসে দেন। তবে এই দেওয়ার পরিমান যা দাঁড়িযেছে তাতে মা কালীর বর্তমানে পাঁচশো চল্লিশ ভরি সোনার গহনা। তবে মা কে গহনা পড়ানোর বেশী ভাগ টাই অবশ্যই কেষ্ট মন্ডলের দেওয়া।
তবে ফি বছর অনুব্রত নিজে মা কে সোনা গহনা করিয়ে পরান মনস্কামনা পূর্ণ হতেই।
কেষ্ট কথায়, “মা আমাকে আজ পর্যন্ত নিরাশ করেনি। যা চেয়েছি তাই দিয়েছেন দু হাত ভরে। মা নিজের অলংকার নিজেই করে নেন। তার জন্য কাউকে কোন দিন কিছু বলার দরকার হয় না। মা দলের নেতা থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাধারন কর্মী সকল কেই দুহাত তুলে আশীর্বাদ দেন। “
পুজোর দিন সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। দলের ছেলেরা কেউ বাজার কেউ ফল মিষ্টি জোগাড় করে। আবার অনেকে রাতে খাওয়া দাওয়া জন্য তদারকি করে। কালী পুজোর রাতে মা এর ভোগের জন্য ৯রকমের ভাজা, লুচি, ৯ রকমের মিষ্টি, তরকারি, পায়েস,। এছাড়াও কয়েক হাজার লোকের জন্য খিচুড়ি বাঁধা কপির তরকারি, পাঁঠার মাংস পায়েস চাটনী ব্যবস্থা করা হয়। রাতে পুজো শেষে প্রায় তিন চার হাজার নেতা কর্মী সমর্থক প্রসাদ খায় পার্টি অফিসে।
জেলার বিধায়ক মন্ত্রী জেলার নেতারা ব্লক নেতারা সন্ধ্যা হতেই হাজির হতে শুরু করে শক্তি আরাধনায অংশ নিতে। কেষ্টর কথায়, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সংকল্প হয়। আমার ও দলের আরও অনেকের নামেই পুজো হয়। মা এর কাছে সকলেই পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রার্থনা করি মা জেলায় যেন কোন অশান্তি না হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যেন অব্যাহত