পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরার জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক শব্দবাণে সোচ্চার হলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবারই ত্রিপুরায় এসে পৌঁছন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সুস্মিতা দেব ও কূণাল ঘোষ। এদিন রবীন্দ্রভবনে সভা থেকেই বিজেপি বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক।
এদিন তিনি বলেন, বিজেপিকে আনা মানে খাল কেটে কুমির আনা। আমাকে কিসের এত ভয় বিজেপির? আমাকে আটকানোর জন্য ১৪৪ ধারা জারি করতে হচ্ছে। আমি আসব বলে কোভিড টেস্টের গাইডলাইনও পালটে গিয়েছে।
এদিন তিনি সভা থেকেই প্রশ্ন তোলেন, এজেন্সিকে সঙ্গে নিয়েও ভয় বিজেপির।
বিপ্লব দেবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেকের হংকার এক ছটাক জমিও ছাড়ব না বিজেপিকে।
অভিষেক এদিন একের পর সুর চড়িয়ে বলতে থাকেন, ত্রিপুরায় বিল্পব দেবের ছুটি হয়ে গিয়েছে। ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। এখানে সন্ত্রাসে বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। বিপ্লব দেবের সংকল্প হল দুয়ারে গুন্ডা। আগে ত্রিপুরা ছিল হার্মাদ, এখন হয়েছে উন্মাদ।
অভিষেক বলেন, বাংলার সব প্রকল্প এখানে চালু হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখানে চালু হবে না কেন বলে ত্রিপুরা সরকারকে নিশানা করেন অভিষেক।
ত্রিপুরার সভা থেকে একের পর তোপ দেগে অভিষেক বলেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার করেও উন্নত হয়নি। কারণ বিজেপি ডবল ইঞ্জিন মানেই দু’জায়গায় চুরি। বিজেপি না হারলে ত্রিপুরা আফগানিস্তান হবে।
এই পরিবেশে ত্রিপুরায় কখনও শিল্প আসতে পারে বলে কটাক্ষ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
অভিষেক ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, আজ গোটা দেশের কাছে ত্রিপুরাকে কলুষিত করছে বিজেপি। করোনার থেকে বিপজ্জনক ভাইরাস হল বিজেপি। আর বিজেপি ভাইরাসের ভ্যাকসিন হল মমতা। সুইচ টিপলে ১৫ বিধায়ক আসবে তৃণমূলে। আজ যারা ত্রিপুরায় গুন্ডাগিরি করছে, তারাই এবার দুয়ারে সরকারের কাজ করবে।
অভিষেকের কটাক্ষ, ত্রিপুরায় বার বার তৃণমূলের সভা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরে হাইকোর্টের কাছ থেকে চড় খেয়ে সভার অনুমতি দিয়েছে।
এদিন রবীন্দ্রভবনের সভা থেকে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বলেন, ২০২৩ পর্যন্ত ত্রিপুরায় মাটি কামড়ে পড়ে থাকব। ভবিষ্যতে দিল্লিকে পরিচালনা করবে ত্রিপুরা। আজ ত্রিপুরায় খুঁটি পুজো করলাম। ২০২৩-এ বিজেপিকে বিসর্জন দেব।