নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল খুলে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মুখে বলে যতটা না সচেতন করা যায়, তার থেকে ছবি এঁকে অনেক বেশি সচেতন করা যাবে বলে মনে করেন বৈদ্যবাটি পুরসভার পুর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুবীর ঘোষ। সুবীর বাবুর নির্দেশেই স্কুল খোলার আগেই দেওয়ালে রং-বেরংয়ের ছবি আঁকার কাজ চলছে বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকার স্কুলগুলিতে। ওই ছবিগুলির মাধ্যমেই করোনার বিধিনিষেধগুলি সম্বন্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে স্কুলগুলিতে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজেশন করার কাজ।
এ বিষয়ে সুবীর বাবু জানান, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুল খোলার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া গেছে। স্কুলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। স্যানিটাইজেশন করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসবে। তারা রংবেরংগের ছবিসহ দেওয়াল লিখনগুলি দেখতে পাবে। দেখতে পাবে দেওয়ালে লাগানো পোস্টারিংগুলিও। তা দেখে ছাত্রছাত্রীরা করোনা সম্বন্ধে অনেক বেশি সচেতন থাকতে পারবে।
শেওড়াফুলির সুরেন্দ্রনাথ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, স্কুলের পক্ষ থেকে তারা নিজেদের মতো যা বাবস্থা নেওয়ার নিচ্ছেন। সরকারিভাবে স্কুলের জন্য যে ফান্ড পাওয়া গিয়েছে তা দিয়ে স্কুল সারানো হচ্ছে। তাছাড়াও স্থানীয় বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুবীর ঘোষ ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার বিষয়ে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনা বিধি নিষেধ সম্বন্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে সহজে সচেতন করা যায় সেজন্য ছবির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সুবীরবাবু।
প্রধান শিক্ষিকা আরও জানান, এই স্কুলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে যাতে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে নির্দিষ্ট দূরত্ব বিধি মেনে বসে। মাস্ক ব্যবহার করে। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে কতটা দূরত্ব মেনে বসবে তা টেবিলের উপর চক দিয়ে এঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে রোগটা আর না ছড়ায়। সেই চেষ্টা স্কুলের পক্ষ থেকে করা হবে।
ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসার পথে পুরো দেওয়াল জুড়ে ছবিসহ করোনা বিধি নিষেধ দেখতে পাবে। বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই আশা থেকেই এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বৈদ্যবাটি পৌরসভা।