পুবের কলম প্রতিবেদক: মোথাবাড়ি প্রবীণ সাংবাদিক ও জীবনবাদী লেখক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৮৪তম জন্মদিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত হল মালদার মোথাবাড়িতে। ফি বছর ২৬ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন ‘জীবনবাদী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এই জীবনবাদী দিবস উদযাপনের বিষয়টি এবছর পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করল। ড. পার্থ চট্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার কালিয়াচক-২ ব্লকের সুকান্ত ভবনে জীবনবাদী পাঠক-পাঠিকাদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী– শিক্ষক-শিক্ষিকা– সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বঙ্গরত্ন প্রাপ্ত অধ্যাপক শক্তিপদ পাত্র– সাংবাদিক সঞ্জীব চক্রবর্তী– কালিয়াচক-২ ব্লকের বিডিও রমল সিং বিরদি ও বৈষ্ণবনগরের বিডিও মামুন আক্তার– ওসি মৃণাল চ্যাটার্জি, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি বাসন্তী বর্মন– ইতিহাস গবেষক ও সাংবাদিক এম আতাউল্লাহ– বিদ্যালয় পরিদর্শক অয়ন ব্যানার্জি সহ অনেকেই। ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফোন ইনের মাধ্যমে কলকাতার বাসভবন থেকে পাঠকদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা– শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী বিষয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক– গবেষক– অধ্যাপক তথা জীবনবাদী লেখক ডা. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৩৫টি দেশ সফর করেছেন। তিনি ১১৫টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এগুলির মধ্যে ‘হতাশ হবেন না’– ‘কেমন করে মানুষ চিনবেন’– ‘জিততে গেলে হারতে হয়’, ‘ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে দেশে দেশে’– ‘স্কুলে যা পড়ানো হয় না’– ‘কলেজে যা শেখানো হয় না’– ‘এখনও সময় আছে’– ‘এবার ঘুরে দাঁড়ান’– ‘সময় চলিয়া যায়’– ‘বিষয় সাংবাদিকতা’– ‘ডাক দিয়ে যায়’ সহ প্রায় ৫০টি জীবনবাদী গ্রন্থের মাধ্যমে পাঠক মহলে দারুণ সাড়া ফেলেছেন।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজক সাংবাদিক রেজাউল করিম জানান– বর্তমানে ক্ষয়িষ্ণু সমাজের অসুখ সারাতে পার্থবাবুর লেখা থেরাপির কাজ করবে। পার্থবাবু ধর্ম ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সাধারণের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নানান বই লিখেছেন। তাঁর প্রদর্শিত জীবনবাদী আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের অনুষ্ঠান বলে জানান তিনি।