পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: করোনায় কাজ হারিয়েছে স্বামীরা। তাই নিজেরাই কাজের সন্ধানে বেরিয়ে মাছের আড়তে কাজ জুটিয়েছিল নাজমা খাতুন, হালিমা বিবিরা। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ করে পারিশ্রমিক পায় নি তারা, এমনই অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।সেইসব মহিলা শ্রমিকদের লক্ষ টাকার বেশি মজুরি না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। কলকাতার চিংড়িঘাটায় অবস্থিত একটি মৎস্য আড়তে কাজ করতে যেত হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নজরুল নগর গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ৪০ জন মহিলা শ্রমিক। সেখানে চিংড়ি মাছের প্রসেসিং করতে হত তাদের।
মহিলা শ্রমিক নাজমা খাতুন এর অভিযোগ, পুজোর আগে থেকে তাদের বেতন বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ঠিকাদার সঞ্জীববাবু। টাকা চাইতে গেলে মহিলা শ্রমিকদের রীতিমতো অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। টাকা না দেওয়ার কথা জানায় ওই ঠিকাদার। অন্যান্য মহিলা শ্রমিকরা নাজমা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে হাড়োয়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে।
ইতিমধ্যে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাজমা খাতুন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত ঠিকাদার সঞ্জীবকে। মহিলা শ্রমিকদের দাবি তাদের ধাপে ধাপে এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা বাকি পড়ে গেছে। তাদের বেতনের টাকা অবিলম্বে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।