ইনামুল হক, বসিরহাটঃ বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মাথায় আরেকটি নতুন পালক সংযোজিত হল। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হল সিটি স্ক্যান মেশিন।সীমান্তবর্তী এলাকার প্রায় কয়েক লাখ মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিবারাত্র পরিষেবা পাবে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সিটিস্ক্যান বিনামূল্যে করা হবে। বসিরহাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতালে রূপান্তর এবং পরে সেটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের তকমা পাওয়ার পর সিটি স্ক্যান মেশিন চালু হওয়ায় খুশি রোগীর পরিজনেরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষরা আর অর্থ ব্যয় করে কলকাতা বা রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে নামিদামি বেসরকারি হাসপাতলে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে এই পরীক্ষা করতে যেতে হতো। এখন থেকে আর যেতে হবে না। সিটি স্ক্যান করতে ন্যূনতম ৪ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচা হত। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে এখন সেটা সম্পূর্ন বিনামূল্যে হবে।
বিধায়ক চিকিৎসক সপ্তর্ষী ব্যানার্জি বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল বসিরহাট হাসপাতালে সিটি স্ক্যান মেশিন বসানোর। আমি বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানোর আগে কথা দিয়েছিলাম বসিরহাটের মানুষকে যে কলকাতায় আর যেতে হবে না। অ্যাম্বুলেন্স ভড়া করে পরীক্ষা করতে। তাই আমি স্বাস্থ্য দপ্তর কে জানানোর পর প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারিভাবে এই মেশিন বসানো হল। সমাজকর্মী ছন্দক বাইন বলেন, গরিব মানুষের কথা ভেবে সরকার যেভাবে এই হাসপাতলে সিটি স্ক্যানের মত আধুনিক পরিষেবা দিল তাতে বসিরহাট মহকুমাবাসীর কাছে অত্যন্ত আনন্দ ও সুখের দিন। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে আর কলকাতায় যেতে হবে না।সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই পরিষেবা পাবে এখানে। এর পাশাপাশি থালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বসিরহাট জেলা হাসপাতাল। পাশাপাশি সমস্ত বিভাগেই পর্যাপ্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা করুক সরকার। এছাড়া আগামীদিনে বসিরহাটে একটি মেডিক্যাল কলেজের দাবি স্থানীয়দের।