দেবশ্রী মজুমদার,বোলপুর: সোমবার দুপুরে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমার দাবী খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতীতে পৌঁছালো ইউনেস্কোর সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের কয়েকজন আধিকারিকও।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির প্রতিনিধি দল আসার মাথায় রেখে বিগত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তড়িঘড়ি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যশালী গৃহসংরক্ষণের কাজ শুরু করে সর্বেক্ষণ বিভাগ।
দেশের বহু সৌধকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি তালিকায় মনোনয়ন দিয়েছে ইউনেস্কো, অথচ দেশের প্রথম নোবেলজয়ী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের কর্মভূমি – ‘শান্তিনিকেতন আশ্রম’এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য সেই তালিকাভুক্ত হতে পারেনি।
এবার আবার সেই সুযোগ উপস্থিত বিশ্বভারতীর সামনে। শান্তিনিকেতনের স্থাপত্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি আদায়ে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার জন্যে আগে থেকেই ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের নজরদারিতে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য গৃহ, ভাস্কর্য গুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
এই প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা ছাড়াও সেখানে সর্বেক্ষণ বিভাগের কয়েকজন আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বিভিন্ন স্থাপত্য ও ঐতিহ্যবাহী জায়গা ঘুরে দেখেন। বিস্তারিত তথ্য নেন পুরাতত্ব বিভাগের আধিকারিক ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছ থেকে।
বিশ্বের দরবারে বিশ্বভারতীর আশ্রম প্রাঙ্গনে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে গণ্য হতে পারে কি না তা খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দলের আগমণ।
এর আগেও ২০১০-১১ সালে বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবার খালি হাতেই ফিরতে হয় বিশ্বভারতীকে।
তাই এবার ইউনেস্কো প্রতিনিধি দলের সফরের আগেই কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মত শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গনে যেসব স্থাপত্য আছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুরু করে।