মুসরত আরা পারভিন, চাঁচল: পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ক্যানসারে আক্রান্ত। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে তিন ছেলেমেয়ে। একদিকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেখ আপা। অন্যদিকে, জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে নুরগেশ বানু। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা গ্রামের বাসিন্দা। চিকিৎসার খরচ সহ দুমুঠো ভাত জোগাড়ের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন স্ত্রী নুরগেশ বানু।
সেখ আপার স্ত্রী নুরগেশ বানু জানান, তার স্বামী প্রায় ছয় মাস ধরে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত। তার ওরাল ক্যানসার হয়েছে। টাকার অভাবে থমকে রয়েছে চিকিৎসা। দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের রেজিষ্ট্রেশন করালেও সেটা এখনো হাতে পায়নি। এদিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে যৎসামান্য জমানো টাকাও ফুরিয়েছে। পরিবারে এখন নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এখন সরকারি সাহায্যের আশায় দিন গুনছে পরিবার।
নুরগেসের স্বামী ভিন রাজ্য জয়পুরে গাড়ি চালকের কাজ করত। সেই টাকায় চলত পুরো পরিবার। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস ধরে বাড়িতে বসে রয়েছে গৃহকর্তা। জমিজমা, ঘটিবাটি বিক্রি করে বিহারের কাটিহার, মালদা ও কলকাতায় চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলেও টাকার অভাবে আর চিকিৎসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মান্নান আলি জানান, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন সেখ আপা ও তার পরিবার। পুজোর জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কাজ বন্ধ ছিল। বিডিওকে বলে দ্রুত কার্ডটি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ বিডিও অনির্বাণ বসু সরকারিভাবে সাহায্যের পাশাপাশি কার্ডটি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।