নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: উত্তরাখণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের কারণে গোটা রাজ্য কার্যত লন্ডভন্ড। খৈরানা,গরমিপাসহ একাধিক জায়গায় ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে। পুজোয় বেড়াতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মধ্যে হুগলি জেলার বেশ কয়েকজন পর্যটক আটকে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে বেড়াতে যাওয়ার আগে তাঁরা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি।
সূত্রে জানা গেছে, চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাট এলাকার বাসিন্দা সুমন চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী দীপান্বিতা চক্রবর্তী সপরিবারে গত ১৫ অক্টোবর লালকোঁয়া এক্সপ্রেস ধরে হাওড়া থেকে উত্তরাখণ্ড বেড়াতে যান। ১৬ অক্টোবর তারা নৈনিতাল পৌঁছান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেখানে দুদিন কাটিয়ে ১৮ অক্টোবর তারা কৌশানি পৌঁছাবেন। নৈনিতাল থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে ভওয়ালি নামে একটি জায়গায় তারা আটকে পড়েন। তারা সেখানে একটি গেস্ট হাউসে তিনদিন ধরে আটকে রয়েছেন। খাবারের তেমন সমস্যা তাদের নেই। তবে বিদ্যুতের সমস্যায় তারা জর্জরিত। সেখানে বিদ্যুৎ নেই। নৈনিতাল থেকে 11 কিলোমিটার দূরে তারা আটকে রয়েছেন।
পাশাপাশি, উত্তরাখণ্ডের ভূমিধসে আটকে রয়েছেন উত্তরপাড়ার মাখলার মমি ঘোষরাও। তারা নৈনিতাল থেকে আলমোড়া যাওয়ার পথে বিনসার নামক জায়গায় আটকে পড়েছেন। তারা জানান, বৃষ্টি কমলেও ভূমিধসের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। একইভাবে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে বেড়াতে গিয়ে জিসমঠে আটকে পড়েছেন দেবাঞ্জন পাঠক, দেবাশীষ দাস, শুভেন্দু দাস, দেবনারায়নসহ কোন্নগর ও হিন্দমোটরের চারটি পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য। সেখানে তারা পুলিশ প্রশাসনের কোন সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আটকে পড়া পর্যটকদের আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে।