ইনামুল হক, মধ্যমগ্রাম: লালন ফকির যাঁকে বাউল সম্রাট ও বাউল গুরু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। রবিবার বাউল কবি লালন ফকিরের জন্ম ও মৃত্যু দিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয় মধ্যমগ্রাম দক্ষিণ বঙ্কিম পল্লী আন্তর্জাতিক বাউল শিল্পী গনেশ চন্দ্র রায়ের বাসভবনে ।
রবিবার দুপুরে বাউল শিল্পী গনেশ চন্দ্র রায় তার নিজ ঘরের প্রবেশ দ্বারে লালন ফকিরের মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান ।এবং একতারা হাতে গনেশ চন্দ্র রায় সংহতির ওপর লালন গীতি পরিবেশন করেন ফকির লালনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান।
উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নাট্যকার পরিচালক গৌতম চন্দ, বাউল শিল্পী কল্পনা রায় প্রমুখ। আন্তর্জাতিক বাউল শিল্পী গনেশ চন্দ্র রায় জানান লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি, যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। বাউল সম্রাট লালন ফকিরের জন্ম ও মৃত্যু দিনে তার অনুকরণে প্রতিষ্ঠিত মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান হল।এবং সংহতির উপর লালন গান পরিবেশন করে শ্রদ্ধা জানান হল। আমরা ধন্য গর্বিত এই করোনা অতিমারি সংকটে লালন ফকিরকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালে মধ্যমগ্রাম দক্ষিণ বঙ্কিম পল্লী প্রতীক্ষা বাস ভবনে প্রবেশদ্বারে লালন ফকিরের অনুকরণে একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।