উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,রায়দীঘি : তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। আর এই দাবদহের মধ্যেই গরমের ছুটি শেষ করে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পঠন পাঠন। আর এই অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বস্তি দিতে স্কুলে বসানো হলো কুলার। দ: ২৪ পরগনার সুন্দরবনের রায়দীঘি থানার বকুলতলা এফ পি স্কুলের নিজস্ব প্রচেষ্টায় এই কুলার লাগানোয় বেশ খুশি পড়ুয়ারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার সামন্ত বলেন,এই কুলার ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বসানো হয়েছে।এখন প্রকৃতির খাম খেয়ালিভাবে চলছে।আর সেজন্য গরমের ছুটি কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। রাজ্য জুড়ে কোথাও তাপপ্রবাহ, কোথাও চরম আর্দ্রতা। যার জেরে স্কুলে যোগ দিতে পারছে না বহু শিশু। সে জন্য তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, জুন মাসের বাকি দিন গুলিতে চাইলে স্কুলের সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে তাপ প্রবাহের জন্য স্কুলগুলিকে সময় বদলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।আঞ্চলিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে স্কুল গুলিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোথায়, কত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি কেমন,তামাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, স্কুল গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কিভাবে পঠন পাঠন হবে।আর ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভেবে কুলার লাগিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল অভিমুখে আনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।আর কুলার পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা।