পুবের কলম প্রতিবেদক: শোকস্তব্ধ মহামেডান স্পোর্টিং। ক্লাবের এক সময়ের দাপুটে কর্তা ইকবাল আহমেদ আর নেই। শুক্রবার নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ২০১৮ সাল থেকে অসুস্থ ছিলেন ইকবাল আহমেদ। কয়েকটা বছর একেবারেই চলাফেরা করতে পারতেন না। ইকবাল আহমেদের মৃত্যুতে শোকাহত রেড রোডের ধারের ক্লাবটি। রাজনীতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রের মধ্যে দারুণ একটা সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন। দাদা সুলতান আহমেদের হাত ধরেই তাঁর মহামেডান ক্লাবে আগমন। গ্রাউন্ড সচিব থেকে ফুটবল সচিবে উত্তরণ। সুলতান আহমেদ ঠিক যতটা শান্ত প্রকৃতির ছিলেন, ইকবাল ছিলেন ততটাই ডাকাবুকো। কিন্তু প্লেয়ার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তাঁর দূরদৃষ্টি ছিল উল্লেখ করার মতো। মহামেডান ক্লাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক প্রায় ২৩ বছরের। বিভিন্ন সময়ে মহামেডান ক্লাবে যে সব কর্মকর্তারা এসেছেন, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ইকবালের সম্পর্কও ছিল বেশ ভালো। রহিম নবি, দীপেন্দু বিশ্বাসদের মতো প্লেয়ারদের মহামেডানে নিয়ে আসার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান যদি কারও থেকে থাকে, তাহলে তিনি ইকবাল আহমেদ। দাদা সুলতান আহমেদ যখন ক্লাবের সভাপতি, তখন ইকবাল আহমেদ ফুটবল সচিব। একদিকে সুলতান আহমেদ যখন ক্লাবের বিনিয়োগের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন, তখন সাদা-কালো ব্রিগেডের ফুটবল টিমকে সাজানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র পদে অভিষিক্ত হওয়ার পর রাজনীতিতেই বেশি সময়টা কাটালেও ফুটবলের টানে মহামেডান ক্লাবে যাওয়াটা বন্ধ করেননি। ক্লাবে শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দেখা করে ক্লাব সম্পর্কে নিজের ভালোবাসা ব্যক্ত করতেন ইকবাল। দাদা সুলতানের মৃত্যুর বেশ কিছু পর থেকেই অসুস্থ হতে থাকেন তিনি। সশরীরে মহামেডান ক্লাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও নিত্য খবরাখবর নিতেন ক্লাবের। সঙ্গে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ময়দানেরও বিভিন্ন খবরাখবর নিতেন। প্লেয়ারদের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইকবাল আহমেদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর প্রয়াণে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাদের শোকবার্তায় জানিয়েছে, ‘ইকবাল আহমেদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। ক্লাবের প্রতি তাঁর একাত্মতা ও তাঁর অবদান ভোলার নয়। তাঁর অভাব অনুভব করবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।’