পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পুরীতে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ভয়াবহ দূর্ঘটনা। বাজি বিস্ফোরণের ফলে ঝলসে গেলেন বহু পূণ্যার্থী। ঘটনায় এক নাবালক-সহ তিনজন নিহত হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৩২ জন বলে বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে। কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাবালকের। ভুবনেশ্বরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অন্য দু’জন। বুধবার রাতে ওড়িশার পুরীতে চন্দন যাত্রা উপলক্ষ্যে নরেন্দ্র পুষ্করিনির তীরে ভক্ত সমাগম হয়েছিল। পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চন্দনযাত্রার অংশ হিসাবে নরেন্দ্র পুকুরে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার ‘চাপা খেলা’ চলছিল। ঘটনার সময় চন্দন যাত্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। যাত্রার সময় ভক্তদের ভিড়ে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এদিকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ যেখানে আতশবাজির মজুদ করা ছিল সেখানে গিয়ে পড়ে। এরপর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। দ্রুত পদক্ষেপ করে প্রশাসন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে আহতদের নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। দ্রুত শুরু হয় চিকিৎসা। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “পুরী নরেন্দ্র পুকুরের কাছে দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। মুখ্যসচিব এবং জেলা প্রশাসনকে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আহতদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা হবে। সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী আহতদের সঙ্গে দেখা করতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। তিনি আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন, কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ কুমার জেনা, খুরদা কালেক্টর চঞ্চল রানা এবং স্বাস্থ্য সচিব শালিনী পণ্ডিত বুধবার গভীর রাতে আহতদের চিকিৎসার তদারকি করতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।আহতদের পুরী, ভুবনেশ্বর এবং কটকের বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। শালিনী সাংবাদিকদের বলেন, “চিকিৎসকের বেশ কয়েকটি দল আহতদের চিকিৎসায় নিয়োজিত আছে। যেহেতু পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় প্রথম ৪৮-ঘন্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই আমরা অবস্থার উপর নজর রাখছি।