গাজা, ২৯ মে: গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের শরণার্থী শিবিরে জোরদার হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। লাগাতার হামলায় ৩৭ জন ফিলিস্তিনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার গাজার স্বাস্থ্য দফতর এ তথ্য জানিয়েছে। বিমান হামলা থেকে ট্যাংক এবং জাহাজ ব্যবহার করে এ হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনা বাহিনী। রাফার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ‘হামলা যখন শুরু হয় তখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে শহরটিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষের আশঙ্কা ছিল ইসরাইল রাফায় স্থল হামলা শুরু করবে। এছাড়াও, দুইটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে।’
এদিকে সোমবার দক্ষিণ গাজায় একটি ‘সিরিজ হামলা’ পরিচালনা করার কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। যেটি এখন ‘সমাপ্ত’ হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে এ ব্যাপারে আর বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইসরাইলি সেনা বাহিনী। গাজা শহরগুলোতে হামলার আগে, নাগরিকদের উচ্ছেদে কোনও পরিকল্পনা না করেই তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরাইল। নেতানিয়াহুর সরকার ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে তারা রাফাহ খালি করার এবং সেখানে মোতায়েন করা চারটি হামাস ব্যাটালিয়ন ধ্বংস করার পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেয়। তারপর থেকেই রাফায় হামলা শুরু করে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস গোষ্ঠী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে দক্ষিণ ইসরাইলে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে। এসময় কমপক্ষে ২৫০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যায় তারা। এর প্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকায় চালানো ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।