পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বারা ইত্যাদি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয়স্থান থেকে একাধিক লাউডস্পিকার খুলে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। জানা গেছে, গত ২ দিনে এখনও পর্যন্ত ৪৩৭ টি লাউডস্পিকার খুলে ফেলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে মোট ২৫৮ টি ধর্মীয় স্থান থেকে মাইক খুলে নেওয়া হয়েছে। মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরই ধর্মীয় স্থান এবং পাবলিক প্লেসে লাউডস্পিকার বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। জানিয়েছিল “উচ্চ শব্দের লাউডস্পিকার এবং সাউন্ড অ্যামপ্লিফাইং ডিভাইস অনুমতি না নিয়ে বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।” শব্দদূষণ রোধেই এই সিদ্ধান্ত। ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের উল্লেখ করে মধ্য প্রদেশ সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারের তরফে আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এলাকায় দিনে শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ৭৫ ডেসিবল এবং রাতে ৭০ ডেসিবল। কমার্শিয়াল এলাকায় তা যথাক্রমে ৬৫ এবং ৫৫ ডেসিবলের মধ্যে থাকতে হবে। রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় দিন ৫৫ ডেসিবল এবং রাতে ৪৫ ডেসিবলের মধ্যে থাকতে হবে।
যদিও এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিস সিং সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশে। এদিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এটি সরকারের আদেশ। আমরা এই নির্দেশ পালন করতে বাধ্য। আমাদের হাতে কিছু নেই। মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের দাবি, দেখে দেখে ,মসজিদ থেকেই মাইক খুলে নিয়েছে ওরা।
এদিন সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষৎকারে আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, “মন্দির হোক বা মসজিদ, শহরের সব ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে মসজিদ থেকে বেশি। আমাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী ধর্মীয় স্থানগুলিতে লাউডস্পিকার অনুমোদিত শব্দ সীমার মধ্যে অনুমতি দেওয়া হোক। নানা অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বিয়েতে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানোর বিষয়ে অভিযোগ আসে। সেক্ষেত্রে ডিজেও নিষিদ্ধ করা উচিত। কেন শুধু ধর্মীয় স্থানেই লাউডস্পিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে?