পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ দেশ ফিরছেন জেডিএস সাংসদ প্রোজ্জ্বল রেভান্না। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি সোমবার এক ভিডিও বার্তায় নিজেই এই খবর জানিয়েছেন। গত মাসে ভোটের আবহে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরই হাসান কেন্দ্রের এই সাংসদ তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে জার্মানি পালিয়ে যান। প্রোজ্জ্বলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। এই আবহে নিজেই একটি ভিডিয়ো আপলোড করে রেভান্না জানিয়েছেন, বিশেষ তদন্তকারী দলের(সিট) মুখোমুখি হবেন তিনি। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে তদন্তে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে রেভান্না জানায়, যে তিনি পলাতক হয়নি। পূর্বনির্ধারিত বিদেশ সফরে গিয়েছিল।
এ দিনের ভিডিও বার্তায় রেভান্না ৩১ মে সকাল ১০টা নাগাদ সিটের কাছে আত্মসমর্পণ করার কথা জানানোর পাশাপাশি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা আছে আমার। মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।” অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তায় জেডিএস সাংসদ বলেন, “যখন ২৬ মে নির্বাচন হল, আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না, সিটও গঠন করা হয়নি। বিদেশযাত্রা আগেই ঠিক করা ছিল। সফরে থাকাকালীন অভিযোগের বিষয়টি জানতে পারি।”
কয়েক দিন আগে প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করে কর্নাটক সরকার। জারি করা হয় ব্লু কর্নার নোটিশও। আগেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। যদিও এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি। প্রোজ্জ্বলের ঘটনা সামনে আসার পর জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। কারণ এই প্রোজ্জ্বল রেভান্নাকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। পাশাপাশি জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) বিজেপির শরিক দল। যার শীর্ষ নেতা রেভান্না।