পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভা ভোটের শেষ পর্ব এবং ফলপ্রকাশের সময় যত এগিয়ে আসছে, তত নিজের ১০ বছরের সযত্নলালিত সাফল্য প্রচার থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর শক্ত গিটে আঁকড়ে ধরছে হিন্দু-মুসলিম ইস্যুকে। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে উন্নয়নের গ্যারান্টি’কে ঠেলে ফেলেছে একেবারে পিছনের সারিতে। তবে রবিবার শুধু ধর্ম নয়, প্রাদেশিক বিভাজন ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের রাস্তাতেও হাঁটতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদিকে। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে একটি জনসভায় ফের মোদির মুখে শোনা গেল মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য।
এদিনের সভায় ইন্ডিয়া জোট’কে কটাক্ষ করে তিনি জানান, মুসলিমদের সংরক্ষণ সুবিধা দিতেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। ওরা নয়া সংবিধান রচনা করতে চাই। যাতে মুসলিমদের নানা ধরণের সুবিধা দিতে পারে। ওরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। মুসলিম তোষণে নিজেদের নিমজ্জিত করছে। মুসলমানদের সংরক্ষণের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করার পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্ডিয়া জোট কট্টর সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী এবং পরিবারবাদী।
প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, বিরোধী জোট সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের শুধু ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। ভোট মিটলে ওদের আর পাত্তা পাওয়া যাবে না । কিন্তু মোদি সরকার গরীবের সরকার । তাঁর জীবন গরীবদের মধ্যেই অন্তর্নিহিত।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই লাগাতার মেরুকরণের চেষ্টা, মিথ্যাচারের পরেও কেন মোদি-অমিত শাহর বিরুদ্ধে চুপ কমিশন? তবে কি ‘মডেল কোড অব কনডাক্ট’ আদতে ‘মোদি কোড অব কনডাক্ট’ হয়ে গিয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। দেশজুড়ে জারি রয়েছে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি। নির্বাচন কমিশন’কে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোট ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারে ধর্মীয় মেরুকরণের লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে পদ্ম-শিবির। তবুও নীরব নির্বাচন কমিশন। মোদি-শাহের বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তারা । একাধিক অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের হয়েছে প্রধানমন্ত্রী-শাহের বিরুদ্ধে। তারপরেও কীসের ভয়ে মোদি-অমিত শাহর বিরুদ্ধে হাত গুটিয়ে বসে আছে কমিশন? প্রশ্ন ওয়াকিফহাল মহলের।