পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ তামাকজাত গুটখা পান মশলা নিয়ে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল তেলঙ্গানা। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সমস্ত পণ্য নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষনা করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য কোনও প্রকার তামাকজাত ও নিকোটিনযুক্ত দ্রব্য উৎপাদন, সঞ্চয়, বিতরণ, পরিবহণ এবং বিক্রি করা যাবে না বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন রাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনারের দফতরের নির্দেশিকাটিতে বলা হয়েছে যে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট ২০০৬ এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট (বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা) ২০১১ অনুসারে গুটকা, পানমশলার মত তামাকজাত পণ্য উৎপাদন, সঞ্চয়, বিতরণ, পরিবহন এবং বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। তামাক এবং নিকোটিনজাত গুটখা পান মশলা বিপজ্জনক ধোঁয়া বিহীন পণ্য যা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। যা মুখে ক্যান্সারের প্রবণতা তৈরি করে। আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে ভারতে ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার ধূমপান করা তামাককে ছাড়িয়ে গেছে। রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় ২১.৪ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্করা ধোঁয়া বিহীন তামাক ব্যবহার করে যেখানে ১০.৭ শতাংশ ধূমপান করা তামাক ব্যবহার করে। বারাণসীতে ৫৫ শতাংশ ক্যান্সার তামাক ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তেলেঙ্গানা বিধানসভা সর্বসম্মতিক্রমে হুক্কা পার্লার নিষিদ্ধ করে। কলেজের তরুণরা হুক্কা পার্লারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে বলে হুক্কা পার্লারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। উল্লেখ্য, এর পূর্বেও একবার গুটখা-সহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। গুটখা, পান মশলা, খৈনির মতো তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালেও। কিন্তু সচেতনতার অভাবে বিক্রি বন্ধ হয়নি। তবে এবারও এই নিষেধাজ্ঞা শুধু খাতায়-কলমেই থেকে যায় কি না, সেটাই এখন দেখার।