ইনামুল হক, বসিরহাট: কেবল অন্য দলকে সমালোচনা করেন না, প্রয়োজনে নিজের দলের নেতা কর্মী থেকে জনপ্রতিনিধি কাউকে রেয়াত করেন না। অন্যায় করলে কাউকে ছাড়েন না। তেমনি ভাবে তিরস্কার করলেন মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডল ও তাঁর স্বামী তথা মিনাখাঁ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলকে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার সার্কাস ময়দানে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলামের সমর্থনে জনসভা করতে এসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাড়োয়া সংলগ্ন মিনাখাঁ বিধানসভার বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডল ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয়দের অনুপস্থিতিতে তীব্রভাবে উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যারা গোপনে গোপনে বিজেপের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে তাদের মত লোকদের আমার প্রয়োজন নেই। ঊষারাণী মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল এর দলীয় কাজকর্মে অসহযোগিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তীব্রভাবে তাদের ভর্ৎসনা করলেন সার্কাস ময়দানের জনসভার মঞ্চ থেকে। তিনি বলেন, ঊষা রানী মন্ডল ও তার স্বামী মনে করেন দলটাকে বেঁচে দেবেন? তাদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তারা চলে গেলে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল নেতা তৈরি করে। একজন চলে গেলে কোটি নেতা জন্মায়। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন,দল আসল ব্যক্তি আসল নয়। হাড়োয়া ও মিনাখাঁর মানুষের কাছে দলকে জেতানোর আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি এদিনও বলেন বসিরহাটের প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম জেতার পর মিনাখাঁ ও হাড়োয়ার মানুষের সঙ্গে আবার দেখা করতে আসবেন। এলাকার বিধায়ক ঊষারণী মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল এর সম্পর্কে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরম উষ্মা প্রকাশের প্রেক্ষিতে মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল বলেন, দিদিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা খালেক মোল্লা বিভিন্ন সময় আমাদের অপমান করে। খালেক মোল্লা ও তাঁর দলবল দিদিকে ভুল বুঝিয়েছে। বিজেপির সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ক্ষমা চাইতে গেলে দিদির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো। অন্য কারো কাছে না।