পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাটঃ গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও একজন। বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার চাঁপাপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাপুর বাজার এলাকার ঘটনা। বছর ৫০ এর মোফাজ্জল হক বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাইকে করে। পথে মারুতি ভ্যান করে ৫ থকে ৭ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী প্রথমে তার বাইক আটকায়। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় মোফাজ্জলকে। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। এরপরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ও বুকে বেশ কয়েকটি গুলি করে বলে জানা যায়। তাকে বাঁচাতে আসলে হাফিজুল মন্ডল নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকেও গুলি করে এবং কোপায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে আততায়ীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা মাটিয়া থানার পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই দুই তৃণমূল কর্মীকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মোফাজ্জল হক(৫০) নামে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। বাকি এক তৃণমূল কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে মাটিয়া থানার পুলিশ আছে। এক বছর আগে মোফজ্জলকে কিছু দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে ছিল। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও এবার শেষ রক্ষা হল না– দুষ্কৃতীদের হাতে তার মৃত্যু হল।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ব্যক্তিগত শক্রতা ও মেছো ভেরি দখল নিযেü দীর্ঘদিন ধরে গন্ডগোল ও ঝামেলা চলছিল। এই নিয়ে একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে গন্ডগোল ঝামেলা লেগেই থাকত। ওই তৃণমূল কর্মী সেই আক্রোশে খুন বলে প্রাথমিক অনুমান। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা খতিযেü দেখছে মাটিয়া থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। গুলিবিদ্ধ আরও এক তৃণমূল কর্মী হাফিজুল মণ্ডলকে কেন কপালে গুলি করল ধন্দে পুলিশ। তাহলে কি আততায়ীদয়ের চিনে ফেলেছিল এমনটা অনুমান পুলিশের। তবে এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা পূর্ব পরিচিত বলে মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মারুতি গাড়ি নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তদন্ত শুরু করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ।