হাইলাইটস
1) রাজধানীতে জানাযা… ইউনিভার্সিটি অফ তেহরানে অনুষ্ঠিত হয় রাইসির জানাযার নামায। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
2) চোখের জলে বিদায় … কফিনে চুম্বন দিয়ে প্রিয় প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাচ্ছেন এক ইরানি।
3) শোক-মিছিল… ইরানের রাজধানীতে শোকের ছায়া। জাতীয় পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি হাতে মিছিল করেন লক্ষাধিক মানুষ।
তেহরান, ২২ মে: কর্তব্যরত অবস্থায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহিদ প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানাচ্ছে ইরান। তাবরিজ শহরে প্রথম জানাযা শেষে ইব্রাহিম রাইসি, বিদেশমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান ও বাকিদের মরদেহ রাজধানী তেহরানে আনা হয় বুধবার। শহরের ইউনিভার্সিটি অফ তেহরানে অনুষ্ঠিত হয় রাইসির জানাযার নামায। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল শোকাচ্ছন্ন। জানাযায় নামাযে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ইউনিভার্সিটিটে অনুষ্ঠিত এই জানাযায় অংশ নেয় সর্বস্তর ও শ্রেণীর মানুষ। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ দেয় লক্ষ লক্ষ শোকার্ত জনতা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে। ওই শহরেই ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার অবস্থিত ও এই শহরটিই রাইসির জন্মভূমি।
রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি ও তাঁর সহযাত্রীরা। হঠাৎই পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে। দেখা যায়, পুরো হেলিকপ্টারই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম, প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। প্রাণ হারিয়েছেন হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলটও।