পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ এই মুহূর্তে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালাতে গিয়ে কেন্দ্রের ভাঁড়ার শূণ্য। কেন্দ্রের তরফে ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে সেই খরচ কমানোর চেষ্টা করা হলেও ঘাটতি মেটাতে ভাঁড়ে মা ভবানী। আর তাই শেষে রিজার্ভ ব্যাংকের শরণাপন্ন মোদি সরকার। রিজার্ভ ব্যাংকের গচ্ছিত অর্থই এখন কেন্দ্র সরকারের সহায়। যদিও মোদি সরকারের সাহায্যে সদাই দরাজহস্ত আরবিআই। সেই পথে হেঁটেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ৬০৮তম সেন্ট্রাল বোর্ড ডিরেক্টরর্সের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল। আরবিআইয়ের গর্ভণর শ্রী শক্তিকান্ত দাসের সভাপতিত্বে বুধবার মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রকে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা হস্তান্তর করতে চলেছে তারা। যা সাম্প্রতিক অতীতের রেকর্ড।
এ দিন আরবিআইইয়ের পক্ষ থেকে যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সিআরবি (কন্টিজেন্ট রিস্ক বাফার) বাড়ানোর (৬.৫০ শতাংশ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই কারণেই আরবিআই বোর্ড ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা লভ্যংশ হস্তান্তরে অনুমোদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ১৪০ শতাংশ বেশি লভ্যংশ দেওয়া হচ্ছে মোদি সরকারকে। গতবার যেখানে ৮৭, ৪১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে এবার দেওয়া হচ্ছে ২, ১০, ৮৭৪ কোটি টাকা।
যদিও অর্থনীতিবিদরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই উদারতাকে দেশের অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন। কারণ আরবিআইয়ের লভ্যাংশ অর্থাৎ সারপ্লাস অসময়ের সঞ্চয়। দেশে দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ বা মহামারীর মতো আপাৎকালীন পরিস্থিতিতে সরকার সংকটে পড়লে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সঞ্চয় কাজে আসে।
আসলে ভোটের আগে শেষ বাজেটে একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিশেষ করে ৮০ কোটি মানুষকে নিয়মিত রেশন দেওয়ার যে প্রকল্প বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে সেই প্রকল্পের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন। মনে করা হচ্ছে সেই প্রকল্পের খরচ জোগাতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ভাণ্ডারে হাত দিতে হচ্ছে কেন্দ্রকে।