তেহরান, ২০ মে: হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবের (৬৮)। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তিনি। মোখবেরের কাউন্সিলে থাকবেন পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধানসহ তিনজন সদস্য। এই কাউন্সিল প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে একটি নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করবে। সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করার কথা ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবেরের হলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির। সংবিধানের ১৩১ ধারা অনুযায়ী, এই পদে মহম্মদ মোখবেরকে অনুমোদন দেওয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা অনুমোদন বা নিশ্চয়তা দিলে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে আসবেন। তাঁকেই বাকি সব কর্মপ্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে হবে।
মোখবের ১৯৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। রাইসির মতো মোখবেরও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ। ২০২১ সালে রাইসি প্রেসিডেন্ট হলে মোখবের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রচুক্তির প্রয়োজনে গত অক্টোবরে মস্কোতে গিয়েছিল ইরানি কর্মকর্তাদের একটি দল, তাতে ছিলেন মোখবেরও। এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিনিয়োগ তহবিলের (সিতাদ) প্রধান ছিলেন মোখবের। ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মহম্মদ মোখবের সিতাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিকে, পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের যেসব ব্যক্তি ও এনটিটির বিরুদ্ধে ২০১০ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার মধ্যে মহম্মদ মোখবের অন্যতম। তবে দু’বছর পরে ওই তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেয় ইইউ।